রাজবাড়ী: রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে কম্পিউটারের দোকান থেকে স্বাস্থ্যবিভাগের সুরক্ষা অ্যাপে করোনা টিকার নিবন্ধন করাতে গিয়ে মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানতে পারলেন তিনি মৃত।
বিষয়টি জানতে পেরে হতবাক হয়ে যান তিনি।
মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের বড়হিজলী গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল মোল্যার ছেলে। তিনি বালিয়াকান্দি উপজেলার একটি এমপিওভুক্ত মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন।
বুধবার (০৮ সেপ্টেম্বর) সকালে এ বিষয়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, ২০০৮ সালে জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছি। দৈনন্দিন কাজে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি বিভিন্ন অফিসে ব্যবহার করেছি কিন্তু কখনোই অনলাইনে সার্চ দিয়ে আমার জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে দেখিনি। কয়েকদিন ধরে করোনা টিকার নিবন্ধন করতে গেলে আমার তথ্য আসে না বিধায় বুধবার সকালে নির্বাচন অফিসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আমি অনেক আগেই মারা গেছি (এনআইডি সার্ভারে মৃত দেখাচ্ছে)।
তিনি জানান, তার বড় ভাই ২০১২ সালে মারা গেছেন। এখনো জাতীয় পরিচয়পত্রে তার তথ্য রয়েছে। মৃত ভোটারদের বাদ দেওয়ার সময় তথ্য সংগ্রহকারী হয়ত ভুলবশত আমার বড় ভাইয়ের পরিবর্তে আমার নামটি লিপিবদ্ধ করেছিলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নিজামউদ্দিন জানান, তাকে আবেদন করতে বলুন। দ্রুত যাতে তার সমস্যাটি সমাধান করা যায় সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, বিগত সময়ে ভোটার তালিকা থেকে মৃত ভোটারদের বাদ দেওয়ার সময় তথ্য সংগ্রহকারী হয়তো ভুল করেছে। এসব ভুল সংশোধনের সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২১
আরএ