নরসিংদী: কানে এয়ারফোন লাগিয়ে কথা বলতে বলতে রেললাইন ধরে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন লুঙ্গির কারখানার দুই সহকর্মী।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম রেলপথের নরসিংদী পৌরসভার তরোয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো. ইমায়েদুল জাহেদী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহতরা হলেন- ফেনীর দাগনভুঞা উপজেলার মোহাম্মদপুর এলাকার আসাদুজ্জামান নান্নুর ছেলে কাজী নজরুল ইসলাম বাবর (২১) ও একই এলাকার মো. হানিফ খানের ছেলে মোর্শেদ খান (১৭)।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, সন্ধ্যায় দুই যুবক কানে এয়ারফোন লাগিয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে শহরের তরোয়া এলাকায় রেললাইন ধরে হাঁটছিলেন। এ সময় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। তরোয়া এলাকা অতিক্রম করার সময় ট্রেনটি বেশ কয়েকবার হুইসেল দেয়। কিন্তু দুই যুবকের কানেই এয়ারফোন থাকায় হুইসেলের শব্দ তাদের কানে পৌঁছায়নি। ট্রেনটিকে বিকট শব্দে আসতে দেখে আশপাশের লোকজনও চিৎকার করে তাদের ডাকছিলেন। কিন্তু তাও তারা টের পাননি। অবশেষে মুহূর্তের মধ্যে ট্রেনটির নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ। নিহত দু’জনের মরদেহ নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে আনা হলে মো. মোশাররফ নামে এক সহকর্মী তাদের পরিচয় শনাক্ত করেন। তিনি জানান, ওই দুই যুবক নরসিংদীতে ভাড়া থেকে তার সঙ্গে একটি লুঙ্গির কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইমায়েদুল জাহেদী বলেন, দুর্ঘটনার সময় তারা দু’জন অন্যমনস্ক ছিলেন। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১
এসআই