ঢাকা, শুক্রবার, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বেরোবি’র শিক্ষক-ছাত্রকে কুপিয়ে জখম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১
বেরোবি’র শিক্ষক-ছাত্রকে কুপিয়ে জখম প্রতীকী ছবি

রংপুর: রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) এক শিক্ষক ও এক ছাত্রকে কুপিয়ে জখম করেছে ছিনতাইকারীরা।

শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভোর ও মধ্যরাতে পৃথক এ ঘটনা ঘটে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ভোরে বেরোবি’র ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক মনিরুজ্জামান মজনু ছিনতাইকারীদের হামলার শিকার হন। তিনি সাড়ে ৫টার দিকে ফজরের নামাজ পড়ে মোটরসাইকেল নিয়ে ক্যাম্পাসে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে লালবাগ বাজার পার হয়ে কলেজিয়েট স্কুলের কাছাকাছি এলে দুই ছিনতাইকারী তাকে কুপিয়ে জখম করে এবং মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ নিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এর আগে মধ্যরাতে জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ১০ম ব্যাচের ছাত্র পরাগ মাহমুদ ক্যাম্পাসের ১নং গেট এলাকায় ছিনতাইকারীদের হামলার শিকার হন। তিনি পার্কের মোড় থেকে সরদারপাড়ায় যাচ্ছিলেন। এ সময় ১৮-১৯ বছর বয়সী তিন ছিনতাইকারী তার পথরোধ করে এবং মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে চায়। পরাগ তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে চাপাতি দিয়ে তার ডান হাতে কোপ দেয় ছিনতাইকারীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে রমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে উন্নতি চিকিৎসার জন্য দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে বেরোবি’র প্রক্টর গোলাম রব্বানী বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষার্থী ও শিক্ষক জখম হওয়ার খবর শুনে ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়েছি। তাদের চিকিৎসার খোঁজ নিতে মেডিক্যালে গিয়েছিলাম। আমরা দ্রুত এ ঘটনার প্রতিকার চাই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ারুল আজিম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ঘটনার পর থেকে আহতদের সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখছি। আমি এখনও রমেক মেডিক্যালে আছি। আহত শিক্ষার্থীর অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এরপরেও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিমানযোগে তাকে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এর আগে গত ২০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একটি মেসে ঢুকে দুই শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে মালামাল নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে পুলিশ ফাঁড়ি ও পাশে তাজহাট থানা থাকলেও নিয়মিত এ ধরনের ঘটনায় তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

এ বিষয়ে জানতে তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতারুজ্জামান প্রধানকে কয়েকবার ফোন করলেও তিনি সাড়া দেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১
এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।