ঢাকা, শনিবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে বরেণ্য ব্যক্তিদের কোনো সম্মান ছিল না

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১
পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে বরেণ্য ব্যক্তিদের কোনো সম্মান ছিল না

ঢাকা: পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে দেশের বরেণ্য ব্যক্তিদের কোনো সম্মান ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, সে সময় তাদের সম্মানকে ক্রয়-বিক্রয় করা হতো।

ক্ষমতায় আকড়ে ধরে রাখার পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করা হতো। ওই জায়গা থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পেরেছি।

শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, কামাল লোহানী, রাবেয়া খাতুন, কবরী, এস এম মহসীন ও ফকির আলমগীরকে স্মরণ করে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সাংস্কৃতিক ও সমাজকল্যাণ সংগঠন নাট্যসভা।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশ অত্যন্ত মেধাবী দেশ। আমাদের শুধু প্রয়োজন পথ দেখানো। সেই পথটা বঙ্গবন্ধু দেখিয়েছেন। তিনি একটা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ দিয়েছেন। সেই সার্বভৌম বাংলাদেশকে মাথা তুলে দাঁড়ানোর জন্য তিনি কর্মসূচি দিয়েছিলেন। তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা অন্ধকারে চলে গিয়েছিলাম।

বরণীয় এসব ব্যক্তিদের স্মরণীয় করে রাখতে তাদের জীবনী পুস্তিকা আকারে প্রকাশের প্রস্তাব রেখে তিনি বলেন, এই মানুষগুলোর জীবনী প্রকাশিত হয় না। সে কারণে পরবর্তী প্রজন্ম এ মানুষগুলো সম্পর্কে জানতে পারছে না। শুধু সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবীর না; আমাদের রাজনীতিবিদরা, তাদেরও কিন্তু অনেক বর্ণাঢ্য জীবন। কঠিন জীবন। সেগুলোও কিন্তু আমরা সেভাবে পাই না। মরে যাবার পর শেষ হয়ে যায়।

তিনি বলেন, একটা স্মরণ সভা করে আমরা মনে করলাম আমাদের দায়িত্ব শেষ। কিন্তু প্রকাশনা থাকলে তার যে দীর্ঘ জীবন, সেই জীবনের যে ধারাবাহিকতা সেগুলো প্রজন্মের পর প্রজন্ম জানতে পারবে। নিজেকে সেভাবে তৈরি করার আগ্রহ তৈরি হবে। সে জায়গাটায় কিন্তু আমাদের অনেক দুর্বলতা রয়ে গেছে। আশা করি এ দুর্বলতা আমরা কাটিয়ে উঠব। আমরা এ পথে চলতে পারলে  নিশ্চয়ই বরেণ্য ব্যক্তিরা আমাদের মধ্যে থাকবেন। তাদের কর্ম নিয়ে যদি আমরা সামনে এগুতে পারি, তাহলে বরেণ্য ব্যক্তিদের প্রকৃত সম্মান আমরা দেখাতে পারব।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম হামিদ, ফকির আলমগীরের স্ত্রী সুরাইয়া আলমগীর, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব আব্দুস সামাদ, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান ও ছটকু আহমেদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, চিত্রনায়িকা অরুনা বিশ্বাস প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক তথ্য সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ।

বাংলাদেশ সময় ২১৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১
ডিএন/জেএইচটি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।