ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

নির্মাণের আড়াই মাসেই ধসে পড়ল ৮৫ লাখ টাকার সড়ক

স্বপন চন্দ্র দাস, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
নির্মাণের আড়াই মাসেই ধসে পড়ল ৮৫ লাখ টাকার সড়ক নির্মাণের আড়াই মাস না যেতেই ধসে পড়েছে সড়কটি।

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় নির্মাণের আড়াই মাস না যেতেই ধসে পড়েছে একটি সড়ক।

সম্প্রতি ভারী বর্ষণে উপজেলার মাগুরা বিনোদ ইউনিয়নের ঘরগ্রাম পূর্বপাড়া এলাকায় তৈরি সড়কের অন্তত ৫০ মিটার অংশ পুকুরে ধসে পড়ে।

এছাড়া ধস দেখা গেছে সড়কের আরও বেশ কিছু অংশে। ফলে ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সাড়ে ১১‘শ মিটার সড়কটি দিয়ে মাঝারি ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। আর এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ঘরগ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকার হাজারও মানুষ।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা ছিল সড়কটি। বর্ষা মৌসুমে কাদা-পানি মাড়িয়ে চলতে হতো। বন্যার সময় নৌকা বা কোমর পানিতেও চলাচল করেছেন অনেকে। এতে এলাকায় উৎপাদিত ফসল হাট-বাজারে সরবরাহ করতে বেগ পেতে হতো কৃষকদের।

নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে প্রায় অর্ধশত বছর ধরে সড়কটি পাকা করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয়রা। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর গত জুন মাসের শেষ দিকে সড়কটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া পুকুরের পাশে কোনও গাইড ওয়াল তৈরি করা হয়নি। নামমাত্র কয়েকটি খুঁটি দিয়ে কার্পেটিং করায় বৃষ্টিতে ধসে পড়েছে সড়কটি।

তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে তন্ময় এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কটি নির্মাণ করে। ২০২০ সালের ১৫ মে শুরু হয় সড়কটির নির্মাণকাজ, যা শেষ হয় চলতি বছরের ৩০ জুন।

এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু সায়েদ বাংলানিউজকে বলেন, আগস্টের শেষ দিকে ভারী বর্ষণ হওয়ায় সড়কের একটি অংশ ধসে গেছে। সড়কটি নির্মাণের সময় নিম্নমানের সামগ্রী দেওয়াসহ কিছু অনিয়ম হওয়ায় আমরা মাঝখানে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। পরে কাজ শেষ করা হয়।

তন্ময় এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী এম এ আল বাকি বাংলানিউজকে বলেন, ভারী বর্ষণের কারণে সড়কটি ধসে গেছে। আমার জামানত এখনও আছে। বর্ষার পর রাস্তাটি আবার সংস্কার করে দেব।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সড়কটির বিষয়ে আমি অবগত। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তন্ময় এন্টারপ্রাইজকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যেহেতু এখন মাটি পাওয়া যাচ্ছে না, তাই বর্ষার পরে সড়কটি সংস্কার করে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।