ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় ২ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় ২ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

ঢাকা: রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় নারীসহ দু’জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন যাত্রাবাড়ী শেখদি এলাকার মাসুদ মোল্লা (৪০) ও কামরাঙ্গীরচরের গৃহবধু শুভ তারা (২৬)।

রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাদেরকে ঢাকা মেডিক্যালে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মাসুদ গোপালগঞ্জ টঙ্গীপাড়া উপজেলার বোরনি গ্রামের বাদশা মোল্লার ছেলে। তিনি দনিয়ায় একটি ফ্যান ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতেন। দ্বিতীয় স্ত্রী বিলকিস আক্তারকে নিয়ে যাত্রাবাড়ী শেখদি পশ্চিমপাড়া এলাকায় থাকতেন তিনি।

যাত্রাবাড়ী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মনিষ ঘোষ বলেন, সকালে নিজ বাসার থেকে ফ্যানের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এরপর  ঢাকা ঢামেকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে বিস্তারিত তদন্তের পর বলা যাবে। নিহতর মাথায় পুরাতন আঘাত দেখতে পাওয়া গেছে। তবে তার মানসিক সমস্যা ছিল, নিজের মাথায় নিজেই আঘাত করেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।

মৃত মাসুদের ছোট ভাই মো. মাহমুদ মোল্লা জানান, মাসুদের প্রথম স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে থাকেন। ওই সংসারে তার দুই সন্তান। আর গত ৩ মাস আগে বিলকিস নামে এক নারীকে বিয়ে করেন সে। তাকে নিয়ে যাত্রাবাড়ীর ওই বাসায় থাকতো। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুনতে পাই, তার স্ত্রী কাপড় শুকাতে বাসার বাইরে বের হলে সে রুমের দরজা আটকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে আসলে কি ঘটনা ঘটেছে তা বলতে পারছি না।

নিহতর ভাই অভিযোগ করে বলেন, শনিবার  স্ত্রী এলাকার লোকজন দিয়ে তার স্বামীকে মারধর করিয়েছিল। এতে তার মাথা ফেটে যাওয়ায় হাসপাতাল থেকে মাথায় সেলাইও করিয়েছে।

এদিকে, কামরাঙ্গীরচর বড়গ্রাম এলাকার হোসেন কমিশনারের বাড়ির পাশের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতো শুভ তারা। তার স্বামী দোলোয়ার হোসেন নিউ সুপার মার্কেটে একটি দোকানে চাকরি করেন। সাত বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে তাদের।

তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া দেবর সানোয়ার হোসেন জানান, সকালে বাসায় সবার অগোচরে কীটনাশক পান করেন সে। পরে তাকে বমি করতে দেখে তাদের সন্দেহ হলে দ্রুত তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তবে কি কারণে সে কীটনাশন পান করেছে এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি স্বজনরা।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মোঃ বাচ্চু মিয়া শুভ তারার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তার মৃতদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি কামরাঙ্গীরচর থানায় জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
এজেডএস/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।