ঢাকা, শুক্রবার, ৫ পৌষ ১৪৩১, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

গণপরিবহনে যাত্রী হয়রানি ও ভাড়া নৈরাজ্য চরমে পৌঁছেছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১
গণপরিবহনে যাত্রী হয়রানি ও ভাড়া নৈরাজ্য চরমে পৌঁছেছে

ঢাকা: দীর্ঘ লকডাউন শেষে চালু হওয়া গণপরিবহনে যাত্রী হয়রানি ও ভাড়া নৈরাজ্য চরমে পৌঁছেছে। এ জন্য এখনই ব্যবস্থা গ্রহণে পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠন ও সরকারের সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বিশিষ্টজনরা।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে যাত্রী অধিকার দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত 'যাত্রী হয়রানি ও ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধের কার্যকর পদক্ষেপ চাই' শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবি জানান।

সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শরীফুজ্জামান শরীফ, মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী প্রমুখ।

কাজী রিয়াজুল হক বলেন, যাত্রীদের দাবি এ দেশের ১৭ কোটি মানুষের দাবি। সড়কে বারবার মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। নিরাপদ সড়কের কথা বলা হচ্ছে, আবার সড়কে নৈরাজ্যও আমরা দেখতে পাচ্ছি।

'এদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে ২৩ হাজার মানুষ মারা যান। অথচ করোনায় প্রথম বছরে মারা গেছেন ছয় হাজার মানুষ। পৃথিবীর সব দেশের মধ্যে বাংলাদেশে সড়কে নৈরাজ্য, হয়রানি এবং ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এসব সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব সরকারের। জীবনের অধিকার সবচেয়ে বড় অধিকার। এ অধিকার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলে মামলা হলেও মানুষ বিচার পাচ্ছে না। পরিবহনখাতে অসম প্রতিযোগিতা চলছে। '

শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, বিশ্বের আর কোন দেশে চেকপোস্ট বসিয়ে পরিবহন মালিকরা টাকা আদায় করে? কিন্তু বাংলাদেশে তা সম্ভব। সরকার আন্তরিক হলে পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও যাত্রীদের অধিকার আদায় করা সম্ভব। শুধুমাত্র সরকার চায় না বলেই সড়কে নৈরাজ্য থেকেই যাচ্ছে।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়কে প্রতি মাসে ৩০০ কোটি টাকার চাঁদাবাজি হচ্ছে। নতুন সড়ক পরিবহন আইন হয়েছে, কিন্তু তা কার্যকর হতে দেখছি। এ আইনে লাইসেন্স পারমিটের জন্য দুই হাজার টাকার বদলে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হচ্ছে। তাহলে কি আমরা ঘুষের টাকা বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করেছি? মালিক-শ্রমিকদের স্বার্থে কাঁটছাট করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, মানবিক গণপরিবহন গড়ে তুলতে না পারলে মেট্রোরেল, পদ্মাসেতুর মতো উন্নয়ন দৃশ্যমান হবে না।

গণপরিবহনে যাত্রী হয়রানি, ভাড়া নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, সড়কে দুর্ঘটনা, অন্যায্য ও অগ্রহণযোগ্য কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দাবি আদায়ের প্রতীকি দিবস হিসেবে দেশে তৃতীয় বারের মতো সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) যাত্রী অধিকার দিবস পালিত হচ্ছে। এবার দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য ছিল 'যাত্রী হয়রানি ও ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধের কার্যকর পদক্ষেপ চাই'।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১
ডিএন/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।