ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেশিন চলে না, গুরুত্বপূর্ণ পদ খালি

হারুন-অর-রশীদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেশিন চলে না, গুরুত্বপূর্ণ পদ খালি

ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটার (ওটি) গত সাত বছর ধরে বন্ধ।

আর ষোল বছর ধরে চালু করাই সম্ভব হয়নি এক্স-রে মেশিনটি। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার অবহিত করা হলেও দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন এখনো পরিলক্ষিত হয়নি। এতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভুক্তভোগী রোগী ও স্বজনরা।

সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৭ মে অপারেশন থিয়েটার চালুর পর ২০১৪ সালের ১৯ আগস্ট এটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে আর চালু করা সম্ভব হয়নি। অপারেশন থিয়েটারে কার্যক্রম চালু করার জন্য অনুমোদিত পদের বেশির ভাগই শূন্য। গাইনি কনসালট্যান্ট, এনেস্থিসিয়া, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি), মেডিটেক রেডিওলোজির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য। আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন থাকলেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় তার সুফল মিলছে না। ফলে ব্যাহত হচ্ছে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা।

এদিকে এক্স-রে মেশিনটিও গত ১৬ বছর ধরে নষ্ট। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে মেশিনটি পাওয়ার পর আর চালু করাই যায়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২০০৫ সালের ৯ জুন কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে এই এক্স-রে মেশিন (৩০০ এম/এ) পাওয়া গেলেও তা একদিনের জন্যও সচল করা সম্ভব হয়নি। মেশিনটি পাওয়ার পর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মেশিনটি স্থাপনের জন্য তাগিদ দেয়। এক পর্যায়ে মেশিনটি প্রাপ্তির দুই বছর পর ২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপন করা হয়। কিন্তু স্থাপনের পর ‘ইনটেন্সি ফাইন স্ক্রিন’ না থাকায় এক্স-রে মেশিনটি কার্যকর হয়নি। গত ২০০৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর তৎকালীন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নারায়ণ চন্দ্র সেন ব্যক্তিগত খরচে ‘ইনটেন্সি ফাইং স্ক্রিন’ ক্রয় করেন এবং বহুল প্রত্যাশিত এক্স-রে মেশিনটি ২০০৮ সালের ৫ নভেম্বর ব্যবহারযোগ্য হয়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ওই দিনই মেশিনটি অকার্যকর হয়ে যায়। এরপর থেকেই মেশিনটি অচল।

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, এক্স-রে মেশিনটি দীর্ঘদিন নষ্ট ছিল। নতুন একটি এক্স-রে মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে এটি চালু হবে। গাইনি ও সার্জারি বিশেষজ্ঞ এবং এনেসথিওলজিস্টের অভাবে বর্তমানে সব প্রকার অপারেশন বন্ধ রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এসব পদে চিকিৎসক পদায়ন করা হলে আমরা অপারেশনের জন্য প্রস্তুত।

তিনি বলেন, জনবল সংকটের কারণে হাসপাতালে কর্মরত খণ্ডকালীন আট জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আয়ার বেতনও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. সহদেব রাজবংশী বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। এ ব্যাপারে আমি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।