মাদারীপুর: মাদারীপুর জেলার শিবচরে শিশু কুতুবউদ্দিনকে (২) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তার চাচি নার্গিস আক্তার।
জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শিশুটিকে অপহরণের পর হত্যা করে একটি নির্মাণাধীন টয়লেটের মধ্যে মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়।
এ ঘটনায় আটক নার্গিস আক্তার আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন শিবচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমির হোসেন সেরনিয়াবাত।
তিনি জানান, শিশুটি নিখোঁজ হলে তার বাবা ইসমাইল বেপারী শিবচর থানায় অভিযোগ করলে শিবচর থানা পুলিশ শিশুটির চাচি নার্গিস আক্তার ও চাচাতো বোন হাফসাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকায় একটি টয়লেটের মধ্যে মাটিচাপা অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় হত্যা মামলা হলে নার্গিস আক্তার ও তার মেয়ে হাফসাকে গ্রেফতার করে মাদারীপুর আদালতে পাঠানো হয়। শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইদুর রহমানের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন নার্গিস আক্তার।
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমির হোসেন সেরনিয়াবাত আরো জানান, এ ঘটনায় আটক নার্গিস আক্তারের মেয়ে হাফসা আক্তারের বয়স ১৩ বছর হওয়ায় তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়নি। তাকে আদালতের কিশোরী কারাগারে রাখা হয়েছে। রোববার আদালতে পাঠানো হবে।
জানা যায়, শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার ইসমাইল বেপারীর দুই বছর বয়সী সন্তানকে কৌশলে অপহরণ করে শিশুটির চাচি নার্গিস আক্তার ও তার মেয়ে হাফসা আক্তার। পরে তাকে হত্যা করে নাওডোবা গ্রামের একটি নির্মাণাধীন টয়লেটের মধ্যে মাটি চাপা দিয়ে রাখে। এ ঘটনায় গত বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) শিশুর বাবা শিবচর থানায় অপহরণ মামলা করেন। পরে সন্দেহজনকভাবে নার্গিস আক্তার ও তার মেয়ে হাফসাকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের দেওয়া তথ্যমতে শুক্রবার সকালে নার্গিসের বাবার বাড়ি থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১
আরএ
