ঢাকা, বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মলমূত্র-আবর্জনার স্তূপের ওপর দিয়ে বিদ্যালয়ে যায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১
মলমূত্র-আবর্জনার স্তূপের ওপর দিয়ে বিদ্যালয়ে যায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী

সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থীকে মলমূত্র ও ময়লা-আবর্জনার স্তূপের ওপর দিয়ে প্রতিনিয়ত দুটি বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে।

জেলার তাহিরপুরের বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় ও বাদাঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশের প্রধান সড়কের এমন চিত্র কয়েক বছর ধরেই।

শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়ার এ প্রধান সড়কের এমন বেহাল দশা দূর করতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও জনপ্রতিনিধিরাও নজর দিচ্ছেন না।

শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা জানান, সড়কের পাশে থাকা টিউবওয়েলের চারপাশজুড়ে সবসময় ময়লা-আবর্জনার স্তূপ থাকে। আর সেই স্তূপের ওপর লোকজন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেন। এ টিউবওয়েলের পাশেই মলমূত্র ত্যাগ করছেন অনেকে। আর এর পাশ দিয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করছে শিক্ষার্থীরা। এতে দুর্গন্ধে তাদের নাভিশ্বাস হওয়ার উপক্রম। বিষয়টি চরমরকমের স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের হুমকিও। তাছাড়া এ পথে যাওয়ার সময় ছাত্র-ছাত্রীরা উদ্ভট পরিস্থিতির শিকার হয় নিয়মিত।

উপজেলার বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী নাফিসা খাতুন ও বাদাঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র জাহিদ আলম জানায়, বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে টিউবওয়েলের সামনে এলে সবাই নাক চেপে ময়লা আবর্জনা পায়ে মাড়িয়ে দুর্গন্ধ সয়ে চলাচল করছি আমরা। গত কয়েক বছর ধরেই এ সমস্যা সহ্য করতে হচ্ছে আমাদের। আবর্জনার স্তূপ ও দুর্গন্ধ দিনদিন বাড়ছেই। আমরা কবে এ দুর্ভোগ, দুর্গন্ধ হতে রেহাই পাব জানি না।

উপজেলার বাদাঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থী তাহমিন সরোয়ার অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীরা দ্রুত সড়কের পাশ থেকে ময়লা আবর্জনা সড়িয়ে নিতে এবং বিদ্যালয় দুটিতে আসা যাওয়ার প্রধান সড়কটিকে দৃষ্টিনন্দন সড়কে রূপান্তরিত করার জোড় দাবি তুলেছে।

উপজেলার বাদাঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদেরকে বছরে যে পরিমাণ সরকারি বরাদ্দ দেওয়া তাতে এ সড়ক ঠিক করাসহ পরিস্কার করার মতো সামর্থ্য হয় না। এ সড়কটি থেকে আবর্জনা সরাতে ও এখানে মলমূত্র ত্যাগ থেকে বিরত রাখতে হলে জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনকেই এগিয়ে আসতে হবে।

এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, আবর্জনা পরিষ্কার করে ছাত্র-ছাত্রীদের এ সড়কে আসা যাওয়ার দুর্ভোগ দ্রুত সময়ের মধ্যে দূর করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সড়কটি নতুন করে নির্মাণ করতে চাই। এজন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরকে সঙ্গে নিয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করে উপজেলা পরিষদের পক্ষ্য থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১
এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।