রাজশাহী: বর্ণাঢ্য আয়োজনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পালন করা হলো নবান্ন উৎসব। তাই ক্যাম্পাস জুড়ে আজ ছিল বাহারি পিঠা-পুলির আমেজও।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহা. মাঈন উদ্দিনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বর্ণাঢ্য একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। এটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনমি অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাব ও অপসংস্কৃতি প্রভাব থেকে বেরিয়ে বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্য লালন করতেই এই উৎসব উদযাপনের আয়োজন করা হয়।
কারণ নবান্ন বাঙালি সংস্কৃতির গভীর শিকড়ে প্রোথিত। একটি আনন্দঘন অধ্যায় কার্তিক মাসের দুঃসহ অভাব পেরিয়ে অগ্রহায়ণের ঋতুসন্ধি আমাদের জীবনে মাধুর্য ও প্রাচুর্যের বার্তা বয়ে আনে। এটাই এই উৎসবের মূল সুর।
আর নবান্ন উৎসব উদ্বোধনকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, নবান্ন উৎসব বাঙালির গ্রামবাংলার ঐতিহ্য। যুগ যুগ ধরে বাংলা সংস্কৃতিতে এই রীতি চলে আসছে। আর কৃষি অনুষদ বরাবরই সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে যাচ্ছে।
এই আয়োজন ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে এর ইতিহাস ও ঐতিহ্য অক্ষুণ্ণ রাখবে।
এদিকে 'নতুন ধানে নবান্ন সবার ঘরে আনন্দ' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ রাবিতে নবান্ন উৎসব-১৪৩১ উদযাপিত হয়।
নবান্ন উৎসব উপলক্ষে বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিঠা তৈরি করেন এবং স্টল দেন। কৃষি অনুষদে ১০টি স্টলে দুধপুলি, চন্দ্র পুলি, তেল পিঠা, নকশী পিঠা, পাটি সাপটা, লবঙ্গ লতিকা, গাজরের হালুয়া, রস মলাইসহ শতাধিক পদের পিঠা বিক্রি হয়।
এর অংশ হিসেবে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও বর্ণিল আয়োজন ছিল। #
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৭ ঘণ্টা,নভেম্বর ১৯, ২০২৪
এসএস/এমএম