ময়মনসিংহ: জমি সংক্রান্ত বিরোধে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরভবানীপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোছা. সুমাইয়া খাতুন (৩১) নামে এক নারী পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতাররা হলেন- ঘটনার মূলহোতা আজিুল হক (৫২), তার সহযোগী সারোয়ার হোসেন (২৭), আবুল কালাম (৩৫) ও মঞ্জু মিয়া (২৯)। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আহত সুমাইয়া খাতুন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমে কর্মরত বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, চরভবানীপুর গ্রামের আলী আকবরের (সুমাইয়া খাতুনের বড় ভাই) সঙ্গে প্রতিবেশী আজিজুল হকের দীর্ঘদিন থেকে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মামলা মোকাদ্দমাও চলছে। বিষয়টি নিয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে স্থানীয়রা মিমাংসার লক্ষ্যে সালিশ বসে। কিন্তু আজিজুলের পক্ষের লোকজন সালিশে উপস্থিত না হলে দু’পক্ষের কাথা কাটাকাটি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে আজিজুলের লোকজন আলী আকবরের বাড়িতে দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। সে সময় প্রতিপক্ষের রামদার আঘাতে জখম হন আলীর বোন পুলিশ সদস্য সুমাইয়া। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাতেই ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করে।
ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, শনিবার রাতে সুমাইয়া খাতুনের বড় ভাই আলী আকবর বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ওই চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে অভিযুক্ত আজিজুল হক বাংলানিউজকে বলেন, আমার ক্রয়কৃত জমি নিয়ে আলী আকবর ঝগড়া সৃষ্টি করেছেন। এ নিয়ে বিরোধের জের ধরে আমাদের ওপর তারা প্রথমে হামলা করে। পরে আত্মরক্ষার্থে আমরাও পাল্টা হামলা করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১
এসআরএস