কক্সবাজার: রাত পোহালেই শুরু হবে কক্সবাজারের চকরিয়া ও মহেশখালী পৌরসভা এবং জেলার ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে ভোট গ্রহণ।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল আটটা থেকে শুরু হবে এ ভোট গ্রহণ।
প্রথমবারের মত চকরিয়া ও মহেশখালী পৌরসভার ভোটারেরা ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিস। প্রস্তুতি রাখা হয়েছে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
তবে মহেশখালী ও চকরিয়া দুই পৌরসভা, মহেশখালীর তিন ইউনিয়ন ও টেকনাফের দুই ইউনিয়ন ক্ষমতাসীনদলের দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি বিদ্রোহী প্রার্থীথাকায় এলাকাগুলো ঝুঁকিপূর্ণ এবং গোলযোগ ও সংঘর্ষের আশংকা করছেন সাধারণ ভোটারেরা।
চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে স্থানীয় সাংসদ জাফর আলমের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ করেছিলেন আ.লীগের প্রার্থী আলমগীর চৌধুরী। এর প্রেক্ষিতে চকরিয়ার ইউএনও ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ রোববার সাংসদকে কোনো প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান না নেওয়ার জন্যে চিঠি দিয়েছেন। এ নির্বাচনে সাংসদ জাফরের ভাতিজা জিয়াবুল হক মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জেলার চার উপজেলায় আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় টেকনাফের হোয়াইক্যং,পেকুয়ার টইটং ও কুতুবদিয়া উপজেলার ছয় ইউনিয়নে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীরা (স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী) সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেন।
উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানান, প্রতিটি উপজেলায় নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্যে বিপুল সংখ্যক র্যা ব,কোস্ট গার্ড, বিজিবি,পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে।
রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্ব স্ব কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তার নেতৃত্বে নির্বাচন সামগ্রী নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্ব স্ব কেন্দ্রে চলে গেছেন।
যেসব ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত সেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে সার্বক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকবে।
জেলা নির্বাচন অফিস জানায়, পৌরসভার প্রতিটি কেন্দ্রে একজন এবং প্রতি ইউনিয়নে তিনজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
এ নির্বাচনে দুই পৌরসভায় মেয়র পদে ৮ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৫ জন, সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ৭৬ জন।
১৪ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯২ জন, সংরক্ষিত নারী পদে ১৯৯ জন,সাধারণ ওয়ার্ডে ৭৭৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মহেশখালী পৌরসভায় ১০ টি ভোট কেন্দ্রে ২০ হাজার ৪২৭ জন এবং চকরিয়া পৌরসভায় ১৮টি কেন্দ্রে ৪৮ হাজার ৭২৪ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
এ ছাড়া টেকনাফ উপজেলার চার ইউনিয়নে এক লাখ ১৭ হাজার ৬১৫ জন,পেকুয়ার টইটং ইউনিয়নে ১৮ হাজার ৬১২ জন, মহেশখালী তিন ইউনিয়নে ৮৭ হাজার ৪২৫ জন এবং কুতুবদিয়া উপজেলার ছয় ইউনিয়নে ৮৭ হাজার ৫৮২জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এসএম শাহাদত হোসেন জানান,নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দুই পৌরসভায় ইভিএম পদ্ধতি এবং ১৪ ইউনিয়নে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৪ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ২০,২০২১
এসবি/এনএইচআর