বেনাপোল (যশোর): ভালো কাজের প্রলোভনে পড়ে বিভিন্ন সময় ভারতে পাচার হওয়া ৩৭ কিশোর-কিশোরীকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত সরকার।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের ট্রাভেল পারমিট প্রক্রিয়ায় বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
ফেরত আসা কিশোর-কিশোরীরা হলো-কুমিল্লা জেলার সাহান হাওলাদার, খুলনা জেলার আনন্দ মণ্ডল, মুস্তাফিজুর রহমান, শিমুল শেখ, আবুল হাসান, মোস্তফা গাজী, যশোরের জেলার আয়শা শেখ, জেসমিন বিবি, রুহুল হোসেন, রাকিব শেখ, শাকিল শেখ, শাকিব হাসান,
গোপালগঞ্জ জেলার জোবায়ের সরদার, বাগেরহাট জেলার লাবনি আক্তার, রহিমা খান, রাকিব, শাহিল ফারাজি, আবু সালে শেখ, শহিদুল, রাকিব হাওলাদার, মুন্সিগঞ্জ জেলার আরিন বাইদা, সাতক্ষীর জেলার মাজেদা খাতুন, সুশান্ত মণ্ডল, হালিমা খাতুন, ঠাকুরগাঁওয় জেলার নিত্যানন্দ রায়, রাজবাড়ি জেলার প্রিয়া বালা, সুনামগঞ্জ জেলার আমেনা খাতুন, পিরোজপুর জেলার মুক্তা আক্তার, নড়াইল জেলার নিশা আক্তার, আবু বক্কর, বিদি খাতুন, রাজশাহী জেলার রোমী খাতুন, ফরিদপুর জেলার নারগিস খাতুন, বরিশাল জেলার জুয়েল সরদার ও কুড়িগ্রাম জেলার শাহজালাল।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, ইমিগ্রেশনে কাগজ পত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আইনি সহয়তা দিতে এসব কিশোর-কিশোরীদের জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার, যশোর রাইটস ও বিএনডব্লিউএলএ (BNWLA) নামে তিনটি এনজিও গ্রহণ করেছে।
জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়ার প্রোগ্রাম অফিসার এবিএম মুহিত হোসেন জানান, ভালো কাজের প্রলোভনে দালাল চক্রের হাত ধরে এসব কিশোর-কিশোরী ভারতে গিয়েছিল। কিন্তু পরে পাচারকারীরা তাদের ভালো কাজ না দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করে। খবর পেয়ে ভারতীয় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে। পরে অনুপ্রবেশ আইনে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয় তাদের। ভারতীয় একটি এনজিও তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের হেফাজতে রাখে। পরে দুই দেশের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আইনি প্রক্রিয়ায় ট্রাভেল পারমিটে তারা দেশে ফেরার সুযোগ পায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
এসআই