নীলফামারী: নীলফামারীতে প্রক্রিয়াজাত কাজু বাদাম আমেরিকায় রপ্তানি করা হচ্ছে। বাংলাদেশের কাজু বাদাম গুনগত মানসম্পন্ন হওয়ায় বৈদেশিক বাজারে এর চাহিদা বেশি।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা সদরের পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের চিনিকুটি নামক স্থানে অবস্থিত ‘জ্যাকপট ক্যাসুনাটস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’ নামের কাজু বাদাম প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা পরিদর্শনকালে কথাগুলো বলেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ ইউসুফ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে কাজু বাদাম চাষ হচ্ছে। ওই তিন জেলায় প্রতি বছর উৎপাদন হচ্ছে এক হাজার ৬০০ থেকে দুই হাজার মেট্রিক টন কাজু বাদাম। আমরা এর উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের উৎসাহিত করছি। আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে এর উৎপাদন চার গুণ বাড়বে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) কাজী আবুল কালাম, উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) মোহাম্মদ রাজু আহমেদ, সহকারী পরিচালক তৌহিদ রাশেদ খান, জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এরশাদ আলম, জ্যাকপট ক্যাসুনাটস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইবনুল আরিফুজামানসহ অনেকে।
জ্যাকপট ক্যাসুনাটস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইবনুল আরিফুজামান বলেন, আমাদের কারখানায় প্রতিমাসে ৪২ মেট্রিক টন কাঁচামাল প্রক্রিয়াজাত করে সাত মেট্রিক টন কাজু বাদাম উৎপাদন করা হয়। কাঁচামালের যোগান কম হওয়ায় এখানে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে না। স্থানীয় পদ্ধতিতে নারী শ্রমিকরা বাদাম প্রক্রিয়াজাত করছেন। এ কারখানায় নিয়মিত ৭৫ জন শ্রমিক কাজ করেন। আমাদের কারখানায় প্রক্রিয়াজত করা কাজু বাদাম আমেরিকায় রপ্তানি হচ্ছে।
আরিফুজ্জামান আরও জানান, কাজু বাদামের চারা রোপণের দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে ফলন আসতে শুরু করে। এ অঞ্চলেও এর চাষ শুরু হয়েছে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ আরও বলেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মাধ্যমে জাতীয় বিপণন নীতিমালা তৈরি করেছে সরকার। নীতিমালাটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলেই ওই নীতিমালা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে উত্তরাঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হবে। ভোক্তারাও পণ্যের মূল্য সম্পর্কে নিশ্চিত থাকবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
এসআই