ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ মাঘ ১৪৩১, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

নাসিকের কোটি টাকার মশার ওষুধ ও যন্ত্রপাতি কোথায়?

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১
নাসিকের কোটি টাকার মশার ওষুধ ও যন্ত্রপাতি কোথায়?

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে (নাসিক) চলতি বছরে প্রায় আড়াই কোটি টাকার মশার ওষুধ ও যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে মশক নিধন ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে। তবে, এ ওষুধ ও যন্ত্রপাতি কোথায় তা জানাতে পারেনি নাসিকের কেউ! গত অর্থবছরের বাজেটেও ১ কোটি ৩১ লাখ টাকার ওষুধ ও যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছিল।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২০২১-২০২২ সালের বাজেট থেকে জানা যায়, সরকারি বরাদ্দ ও নিজস্ব অর্থায়নে নাসিক চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে ২ কোটি ৩৬ লাখ টাকার মশক নিধন ওষুধ ও যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হয়েছে। ২০২০-২০২১ সালের বাজেটে নাসিক এলাকায় মশক নিধনে ১ কোটি ৩১ লাখ টাকার ওষুধ ও যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে।  

সিটি করপোরেশনের বাজেট বইয়ে এ কথা উল্লেখ থাকলেও এ যন্ত্রপাতি ও ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন নাসিক কর্মকর্তারা।

এছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৭০ জন মশক নিধন কর্মীর মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম অব্যাহত আছে ও করোনা প্রতিরোধে ৮০ লাখ লিটার ক্লোরিন মিশ্রিত পানির স্প্রে নগরে করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে নগরবাসীর অভিযোগ এ কার্যক্রমগুলো তারা দেখছেন না। জানতে নাসিকের এক দপ্তরের কর্মকর্তারা অন্য দপ্তরে যোগাযোগ করতে বলেন।

অনেকে সরাসরি বলে ফেলেন, নির্বাচনের আগে অভ্যন্তরীণ কোনো তথ্য নিয়ে আমাদের কথা বলা নিষেধ আছে। কে নিষেধ করেছেন সে প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি কেউ। মশার ওষুধ ও যন্ত্রপাতিগুলো কী কেনা হয়েছে কিনা সেটাও নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারেননি।  

এদিকে নগরে মশার উপদ্রুব বাড়ায় বিপাকে নগরবাসী। এদের অনেকেই ডেঙ্গু জ্বরসহ নানা মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

মিশনপাড়া এলাকার বাসিন্দা করিমন জানান, মশার ওষুধ তো কেউ দেয় না। মশা বাড়ছেই। নাসিকের কাউকে গত কয়েক মাসে মশার ওষুধ দিতে দেখিনি। নালা ডোবাগুলোতেও তো মশার ওষুধ ছিটাতে পারে।

আমলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা রহিম ব্যাপারী জানান, আমি তো মশার ওষুধ দিতে দেখিনি এ বছরে। কোথায় দিয়েছে জানা নেই। নিজেরা আতঙ্কিত থাকি। আমার পাশের বাড়ির বাচ্চাটার কিছুদিন আগে ডেঙ্গু জ্বর হয়েছিল। শুনেছি আমাদের স্থানীয় কাউন্সিলরের ছেলেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

ডেঙ্গু ও মশা প্রতিরোধে সিটি করপোরেশনের পদক্ষেপের ব্যাপারে জানতে চাইলে মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী জানান, একটু ব্যস্ত আছেন, প্রধান নির্বাহী (সিইও) এ ব্যাপারে অবগত আছেন এবং তার কাছে সব তথ্য রয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে নাসিকের প্রধান নির্বাহী (সিইও) আবুল আমিনের মোবাইলফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তার কাছ থেকে কোনো উত্তর মেলেনি।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।