ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দুই স্ত্রী-দুই সন্তান রেখে কিশোরীকে নিয়ে পালালেন ব্যবসায়ী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১
দুই স্ত্রী-দুই সন্তান রেখে কিশোরীকে নিয়ে পালালেন ব্যবসায়ী রাশেদুল ইসলাম বাপ্পী

বাগেরহাট: নিজের দুই স্ত্রী ও দুই সন্তান থাকা সত্ত্বেও এক কিশোরীকে নিয়ে পালিয়েছেন রাশেদুল ইসলাম বাপ্পী (৩৫) নামে এক জুতা ব্যবসায়ী।  

জানা যায়, ৯ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকালে বাপ্পী ওই কিশোরীকে নিয়ে পালিয়ে যান।

এখন পর্যন্ত তাদের খোঁজ মেলেনি। এ ঘটনায় ১৩ সেপ্টেম্বর (সোমবার) বাপ্পীসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে বাগেরহাট মডেল থানায় অপহরণ মামলা করেছেন ওই কিশোরীর বাবা।

মামলার আসামিরা হলেন- বাগেরহাট সদর উপজেলার লাউপালা ও চাপাতলা এলাকার রাশেদুজ্জামান বাপ্পী, তার ভাই হাছিব হাওলাদার, বন্ধু হরিচাঁদ দাস, মিঠু শেখ, বাবু হাওলাদার, মনিরুল ও সজীব শেখ।

পালিয়ে যাওয়া ওই কিশোরী বাগেরহাট সদর উপজেলার লাউপালা রাংদিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। অন্যদিকে বাপ্পীর যাত্রাপুর বাজারে জুতার দোকান রয়েছে। জুতা কিনতে যাওয়ার সুবাদেই তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।

মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ করে শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ০৯ সেপ্টেম্বর সকালে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে বাড়ি থেকে হেঁটে রাংদিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের উদ্দেশে রওনা দেয় তার মেয়ে। পথে যাত্রাপুর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে পৌঁছালে স্থানীয় জুতার দোকানদার লাউপালা এলাকার রাশেদুজ্জামান বাপ্পী তার লোকজন নিয়ে আমার মেয়েকে অপহরণ করে। পরবর্তীতে ১৩ তারিখ রাশেদুজ্জামানসহ সাতজনকে আসামি করে বাগেরহাট থানায় মামলা দায়ের করি। কিন্তু এখনো আমার মেয়েকে খুঁজে পাইনি।

শিক্ষার্থীর মা বলেন, এক বছর আগে থেকে রাশেদুজ্জামান বাপ্পী আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হলেও কোনো প্রতিকার পাইনি। শেষ পর্যন্ত সে আমার মেয়েকে অপহরণ করে ছাড়ল। যেকোন মূল্যে আমি আমার মেয়েকে ফিরে চাই। ১৫ বছরে মেয়েকে ছাড়া এভাবে আমি একা থাকিনি।  

অসহায় ওই মা আরো বলেন, রাশেদুজ্জামান বাপ্পীর দুই বউ ও ছোট ছোট দুটি সন্তান রয়েছে। এরপরেও সে এলাকার অনেক কিশোরী মেয়েদের দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে। স্ত্রীদের বাধা সত্ত্বেও এই বাপ্পী এ ধরনের কাজ করে যাচ্ছে। আর এখন আমার মেয়েকে অপহরণ করে কোথায় রেখেছে কেউ জানে না। মেয়েকে ছাড়া আমি বাঁচব না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যাত্রাপুর বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, বাপ্পী এই বাজারে দোকান দেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন কিশোরীকে বিরক্ত করত। জুতার দোকান হওয়ায় কিশোরী মেয়েরা তার দোকানে যেত। আর এই সুযোগটাই সে কাজে লাগাতো।

বাগেরহাট মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. সেরাজুল ইসলাম বলেন, কিশোরীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। আশাকরি খুব দ্রুত অপহরণকারী শিকোরীকে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেফতারে সক্ষম হব।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।