ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বান্দরবানে হচ্ছে টানেল, কমবে পর্যটকের ভোগান্তি

কৌশিক দাশ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
বান্দরবানে হচ্ছে টানেল, কমবে পর্যটকের ভোগান্তি

বান্দরবান: বান্দরবানে দৃষ্টিনন্দন টানেল তৈরি করা হচ্ছে। টানেলটি চালু হলে বান্দরবান সদর উপজেলায় ঢুকতে হবে না পর্যটকদে, শহরের প্রবেশমুখ থেকেই  যাওয়া যাবে রুমা, থানচি, চিম্বুকসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

ফলে কমবে পর্যটকের ভোগান্তি।  

বান্দরবানের বর্তমান বাসস্ট্যান্ড হয়ে প্রস্তাবিত কেন্দ্রীয় টার্মিনাল হাফেজঘোনায় যাওয়ার পথে পাহাড়ি সড়কে নির্মিত হচ্ছে দীর্ঘ ৫০০ ফুট আধুনিক এ টানেলটি।

টানেলটি বর্তমান বাসস্ট্যান্ডের সঙ্গে কেন্দ্রীয় টার্মিনাল সড়ককে সংযোগ করবে। টানেলের ভেতর দিয়ে সব ধরনের বাস চলতে পারবে। সেই সঙ্গে সাধারণ জনসাধারণের চলাচলের জন্য থাকছে ফুটপাতও।  
এটি চালু হলে পর্যটন শহর বান্দরবানের সৌন্দর্য আরও এক ধাপ বেড়ে যাবে বলে প্রত্যাশা স্থানীয়দের।  
জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকায় এ টানেলটির নির্মাণ কাজ চলছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। বর্তমান বান্দরবান সদরের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডটি ছোট হওয়ায় দ্রুত নবনির্মিত কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে প্রবেশের জন্য এ টানেলের কাজ শুরু করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড।  

কর্তৃপক্ষের আশা, এ টানেলটি চালু হলে সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ কমবে এবং বান্দরবান শহর হবে যানজটমুক্ত।
টানেলটি নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম এম ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী রাজু বড়ুয়া জানান, আমরা কাজের কার্যাদেশ (ওয়ার্ক অর্ডার) পাওয়ার পর টানেলটির নির্মাণ করছি। টানেলটির ভেতরে এখন আধুনিক ২৪ ফুট সড়ক ও তিন ফুট ফুটপাত নির্মাণের কাজ চলছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের এ কাজটি শেষ হলে বর্তমান বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যানজট কমে আসবে এবং কাটা পাহাড় এলাকাটিতে পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ বন্ধের শঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে।  

তিনি আরো জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের আন্তরিকতার কারণে পার্বত্য এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ চলছে। এ টানেলটি চালু হলে পার্বত্য এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে।  

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল আজিজ বলেন, এ টানেলটি বান্দরবানের যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য একটি মাইলফলক। এটি চালু হলে বান্দরবানের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই সহজ হবে। ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের যে কোনো এলাকার যাত্রীরা সহজেই বান্দরবানের প্রবেশমুখে এসে সদর এলাকায় না ঢুকেই রুমা, থানচি, চিম্বুকসহ বিভিন্ন এলাকায় ভ্রমণ করে আবার সহজেই ফেরত যেতে পারবেন।  

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত জানান, দুই দফায় মোট ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০০ ফুট দীর্ঘ এ টানেলটির নির্মাণ কাজ চলছে। প্রথম দফায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়, তখন ৩০০ ফুট দীর্ঘ টানেল হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু পরে তা সংশোধন করে টানেলটি আরও ২০০ ফুট বাড়িয়ে মোট ৫০০ ফুট লম্বা করে আরও পাঁচ কোটি ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ বাড়ানো হয়।  

এ টানেল পার্বত্য জেলার পাহাড়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি পর্যটকদের বিনোদনের মাধ্যম হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।