কুমিল্লা: কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতাল ও লাকসামে নবাব ফয়জুন্নেছার বাড়ি পরিদর্শন করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর. মিলার। এসময় ইউএসএআইডির মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন স্টিভেনস সঙ্গে ছিলেন।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টা পর্যন্ত কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছিলেন তারা। তারপর কুমিল্লার লাকসামে অবস্থিত নবাব ফয়জুন্নেছার বাড়ি পরিদর্শনে যান।
এর আগে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্সের সাবেক পরিচালক আফতাবুল ইসলাম মঞ্জুর কুমিল্লার বাসায় যান তারা। এসময় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী ড. মো. সফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাহাদাত হোসেন ও কুমিল্লার সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসেন তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সূত্র জানায়, এসময় কুমিল্লার উন্নয়নে ইউএসএআইডি কী কী ভূমিকা রাখতে পারে, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী ড. সফিকুল ইসলাম বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কুমিল্লার ঐতিহ্য খাদি ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে আমরা কথা বলেছি।
এদিকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে একটি শুভেচ্ছামূলক চিঠি দেওয়া হয় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও ইউএসএআইডির প্রতিনিধিকে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে করোনার শুরু থেকেই সরকারকে নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছে ইউএসএআইডি। কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইউএসএআইডি মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করেছে, যা সত্যিই বিস্ময়কর। আমরা কৃতজ্ঞ থাকব, যদি করোনা ব্যবস্থাপনা, সংক্রমণ ও প্রতিরোধ বিষয়ে এ হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীদের প্রশিক্ষিত করে তোলে ইউএসএআইডি।
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দিন জানান, হাসপাতালের কার্যক্রম দেখে রবার্ট মিলার ও ক্যাথরিন স্টিভেনস সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
আরএ