মৌলভীবাজার: বিশ্বে বাংলাদেশের চা গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করা বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিটিআরআই) মূল লক্ষ্য। এ জন্য চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি গুণগত মান বজায় রাখা খুব জরুরি।
এ জন্য প্রতি বছরের মতো রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চা গবেষণা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হলো টি টেস্টিং অনুষ্ঠান।
সিলেট চা শিল্পাঞ্চলের জুড়ী ও মনু-দলই ভ্যালির প্রায় ২০টি বাগানের চায়ের স্যাম্পল (নমুনা) যাচাই করার জন্য বিটিআরআইয়ের ‘টি টেস্টিং রুমে’ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ক্লিভডন চা বাগান, হাফিজ চা বাগান, সাগরনাল চা বাগান, কুরমা চা বাগান, চাম্পারায় চা বাগান, পাত্রখোলা চা বাগান, রত্না চা বাগানসহ মোট ২০টি বাগানের প্রতিনিধিরা নিজ নিজ বাগানের নমুনা নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।
চা আস্বাদনী অনুষ্ঠানে প্রধান ‘টি টেস্টার’ হিসেবে চায়ের মান নিরূপণ করেন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. ইসমাইল হোসেন। অনুষ্ঠানে ক্লিভডন চা বাগান, হাফিজ চা বাগান, রত্না চা বাগানসহ অধিকাংশ বাগানের চা (৪+) থেকে (৪) ক্যাটাগরির চা হিসেবে মান নিরূপণ করা হয়েছে।
বিটিআরআই-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, টি টেস্টিং বা চা আস্বাদনী আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশ চায়ের গুণগতমানের অবস্থা যাচাই করা এবং সর্বপরি বাংলাদেশ চায়ের গুণগতমান নিরূপণ করা। টি টেস্টিং এমন একটা পদ্ধতি যার মাধ্যমে একটি কোম্পানি তার তৈরি চায়ের মার্কেট মূল্য নির্ধারণ করতে সক্ষম হয়। টি টেস্টিংয়ের মাধ্যমে গুণগতমান নিরূপণ হলেই বাজারে বিদ্যমান মার্কেট ট্রেন্ড অর্থাৎ সহজলভ্যতা এবং চাহিদার উপর ভিত্তি করে এর নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ করা সম্ভব।
কাজেই সঠিক মূল্য নির্ধারণ এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজারে স্থায়ী অবস্থানের জন্য চায়ের গুণগতমান একটি বিশেষ নিয়ামক, যা চা বাগানকে স্থিতিশীল লাভজনক অবস্থানে রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরি বলে জানান ড. ইসমাইল হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
বিবিবি/এমজেএফ