টাঙ্গাইল: ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাঁচ মাস আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টাঙ্গাইলের ত্রাণ গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেও এখনো শেষ হয়নি ভবনটির নির্মাণকাজ। ফলে ভবনটি বুঝে পায়নি দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ত্রাণ গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিলো ২০২০ সালের ১৮ ডিসেম্বর। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে এক কোটি ৭৩ লাখ ১৮ হাজার ১১৩ টাকা। আর এ ভবনের নির্মাণকাজ করছে মেসার্স সিটি বিল্ডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
জানা যায়, গত ২৩ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের ৩০টি ত্রাণ গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। কিন্তু উদ্বোধনের পাঁচ মাস পরেও শেষ হয়নি এর নির্মাণকাজ। ফলে এখন ভবনটি বুঝিয়ে দিতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, ত্রাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং তিনি ভবনটি পরিদর্শন করেছেন। এতে তারা দেখতে পেয়েছেন ভবনটি অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। নিম্নমানের কাজ দেখে মহাপরিচালক অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং যথাযথভাবে ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করতে প্রকল্প পরিচালক ও ঠিকাদারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সরেজমিন ভবনটিতে দেখা যায়, পূর্বের লাগানো থাইগ্লাস খুলে নতুন করে উন্নতমানের গ্লাস লাগানো হচ্ছে। ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীও নিম্নমানের লাগানো হয়েছে। এছাড়া নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা ভবনের কয়েক স্থানে ভেঙে নতুন করে মেরামত করা হচ্ছে। ভবনের রেলিংএও নিম্নমানের গ্রিল ব্যবহার করায় সেগুলো বাঁকা হয়ে গেছে। কাজ শেষ না হতেই খসে পড়ছে ভবনের পলেস্তারা।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ার এসএম মঞ্জুর হাসান জানান, দুই একটি জায়গায় কোনাকুনি ভেঙে যাওয়ায় সেগুলো ঠিক করা হচ্ছে।
ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সাব অ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. ওসমান গনি জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভবনটি পরিদর্শন করেছেন। তারা ভবনের কিছু ত্রুটি পেয়েছেন। আর ফিনিসিং কাজে একটু ত্রুটি থাকবেই। এসময় থাই গ্লাস এবং রেলিং বাঁকা পেয়েছেন, সেগুলো রিকভারি করে দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ভবনের কয়েকটি স্থান ভেঙে মেরামত করা হয়েছে।
ঠিকাদার আজাদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ভবনে যেসব নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো পরিবর্তন করে দেওয়া হবে। এছাড়া ডিজি মহোদয় এবং জেলা প্রশাসক পরিদর্শন করে বাইরে দেয়াল এবং কিছু ইলেকট্রনিক্স সুইচে সমস্যা দেখতে পেয়েছেন। এজন্য সেগুলোও নতুন করে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার সাহা জানান, কাজ শেষ হওয়ার পর এর মান কেমন হয়েছে তা দেখে বুঝে নেওয়া হবে। তবে কাজ শেষ হওয়ার আগেই উদ্বোধনের ব্যাপারে তিনি কিছু বলেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
আরএ