ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ পৌষ ১৪৩১, ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রী, ছেলেও দ্বৈত নাগরিক

ভারত-বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক হলেন ইউপি চেয়ারম্যান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
ভারত-বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক হলেন ইউপি চেয়ারম্যান মনোরঞ্জন পাল

বাগেরহাট: বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বৈত নাগরিক হয়েও বাগেরহাটের মোল্লাহাটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মনোরঞ্জন পাল নামে এক ব্যক্তি।

গত ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলার চুনখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

তার স্ত্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্নেহলতা পাল (বিশ্বাস)-সহ পরিবারের তিন সদস্যই ভারতীয় নাগরিক। এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

দেশের সম্পদ ভারতে পাচার ও স্থানীয়দের সেবা বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কায় মোল্লাহাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন সুশান্ত বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তি।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত মনোরঞ্জন পাল চুনখোলা ইউনিয়নের ডাবরা গ্রামের অমৃত লালের ছেলে। তিনি একই সঙ্গে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নাগরিক। সেখানে বনগা মহাকুমার বাগদা থানার কনিয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটার তালিকায়ও তার নাম রয়েছে। তার স্ত্রী ৮২ নং দক্ষিণ চুনখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্নেহলতা পালেরও নাম রয়েছে কনিয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটার তালিকায়। মনোরঞ্জন পালের ছেলে সৌমিত্র পালও ভারতীয় নাগরিক। ভারতের পশ্চিম বঙ্গের প্রধান  নির্বাচন  কর্মকর্তার (http://ceowestbengal.nic.in) ওয়েবসাইটে তাদের নাম ও ঠিকানা রয়েছে।

এ বিষয়ে বিনা মনোরঞ্জন পাল বলেন, আমি এবং আমার পরিবারের সব সদস্য শুধুমাত্র বাংলাদেশি নাগরিক। ভারতে আমার কোনো নাগরিকত্ব নেই। কোনো ব্যবসা-বাণিজ্যও নেই। একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

ভারতের পশ্চিম বঙ্গের প্রধান  নির্বাচন  কর্মকর্তার (http://ceowestbengal.nic.in) ওয়েবসাইটে আপনার এবং আপনার পরিবারের সব সদস্যের নাম রয়েছে কেন?- এমন প্রশ্নে মনোরঞ্জন পাল বলেন, ওয়েবসাইটের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। ওয়েবসাইট বুঝি না।

মোল্লাহাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা প্রবীর কুমার মল্লিক বলেন, নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী কোন ব্যক্তির নাম বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটার তালিকায় থাকলেই তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে আদালত অথবা সরকারের সাংবিধানিক কোনো প্রতিষ্ঠান যে নির্দেশনা দেবে নির্বাচন কমিশন তা বাস্তবায়ন করবে।

বাগেরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মু. শাহ আলম বলেন, একজন সরকারি কর্মচারী বিনা অনুমতিতে দেশের বাইরে যেতে পারেন না। যদি কোনো শিক্ষক দেশের বাইরে যায় অথবা দুই দেশের নাগরিকত্ব থাকে তাহলে আমরা লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:২৫ ঘণ্টা, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।