ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

‘বাংলা’ পৃথিবীর মধুরতম ভাষা 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২১
‘বাংলা’ পৃথিবীর মধুরতম ভাষা 

ঢাকা: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলা পৃথিবীর মধুরতম ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। বাঙালি তার জাতীয়তাবোধ এবং তার জাতিসত্ত্বা এমনভাবে ধারণ করেছে যা সারা পৃথিবী এখন কেবল স্বীকৃতিই দেয়নি বরং সম্মান করে।

তিনি বলেন, বাংলাভাষা জাতিসংঘের অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি অর্জনের সকল যোগ্যতা লাভ করেছে। তিনি বাংলাকে জাতিসংঘের অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টা সফল হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বৃহস্পতিবার রাতে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, বাঙালি জাতিস্বত্ত্বার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাহিত্য সংগঠন পূর্ব-পশ্চিম আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কবি আসাদ মান্নান, বিটিআরসি চেয়ারম্যান কবি শ্যাম সুন্দর সিকদার, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অসীম কুমার দে, রাইটার্স ক্লাবের সভাপতি শেখ রবিউল হক, অধ্যাপক রসা চক্রবর্তী এবং কবি, তার স্ত্রী ও পুত্র বক্তব্য রাখেন।  

কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার কর্ম ও জীবনের বিভিন্ন দিকের স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে বাংলা’ভাষা সেখানেই বাংলাদেশ’ বন্ধু কবি নূরুল হুদার এই উক্তির মধ্য দিয়ে বাংলা ও বাঙালির প্রতি এই কবির গভীর ভালবাসারই প্রকাশ ঘটেছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিয়ে বাংলা ভাষাকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে ১৭ বার বাংলায় ভাষণ দিয়ে, বিশ্ব সভায় বাংলা ভাষার মর্যাদা সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন।  

কম্পিউটারে বাংলা ভাষার প্রবর্তক মোস্তাফা জব্বার বাংলাদেশ ইন্টারনেট ডোমেইনকে ডট বাংলা ডোমেইনে পরিণত করাসহ প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার সক্ষমতা দিয়েছে উল্লেখ করে বলেন, বাংলা ভাষা সকল দিক থেকেই জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষার স্বীকৃতি পাওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা না হলে বাংলা মুদ্রণে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব হতো না।  

১৯৬৮ সাল থেকে কবি নূরুল হুদার সঙ্গে মন্ত্রী তার বন্ধুত্বের স্মৃতি তুলে ধরে বলেন, নূরুল হুদার বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব প্রাপ্তি বাংলা একাডেমির কর্মকাণ্ড আরও শাণিত করবে। কবির সঙ্গে মেধাস্বত্ত্ব নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার মধুর অভিজ্ঞতার কথাও স্মরণ করেন মন্ত্রী।  নূরুল হুদার জীবনের সফলতা-সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।  

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বাংলা ভাষার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করেন। তিনিও কবি নূরুল হুদার জন্ম দিনের শুভেচ্ছা জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২১
এমআইএইচ/এসআইএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।