ঢাকা: আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করছে পশ্চিমা গোষ্ঠী। একইসঙ্গে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ থেকেও এই হত্যার নিন্দা জানানো হয়েছে।
মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনীতিকরা এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন। রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা। এর মধ্যে রয়েছেন প্রভাবশালী দেশ হিসেবে বিবেচিত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কূটনীতিকরাও।
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যার পর এ ঘটনায় সরকার কি ধরনের পদক্ষেপ নেয় সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি কূটনীতিকদের। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন তারা। বিশেষ করে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসসিআর এ ঘটনার পর ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে মুহিবুল্লাহর সঙ্গে দেশ-বিদেশের কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার যোগাযোগ ছিল। রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি তিনি সবার কাছে তুলে ধরতেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলেও মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গা পরিস্থিতি তুলে ধরেছিলেন। তাকে হত্যার পর বিদেশি কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এ ঘটনার স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
রোহিঙ্গা নেতা হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন মুহিবুল্লাহ। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের পর আলোচনায় উঠে আসেন তিনি। এছাড়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার দাবিতে কক্সবাজারে একটি মহাসমাবেশের আয়োজন করেছিলেন। সেটাই ছিলো রোহিঙ্গাদের নিয়ে সবচেয়ে বড় সমাবেশ।
উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কক্সবাজারের উখিয়ার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ঘটনায় রোহিঙ্গাদের পক্ষে কথা বলার মানুষটিকে হারালো নিপীড়িত জনগোষ্ঠী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২১
টিআর/এনএসআর