ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

টার্গেটের নামে শ্রমিক হয়রানি বন্ধের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২১
টার্গেটের নামে শ্রমিক হয়রানি বন্ধের দাবি

ঢাকা: পোশাক শ্রমিকদের প্রোডাকশন টার্গেটের নামে হয়রানি বন্ধ করা, দ্রব্যমূল্য কমানো ও মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির উদ্যোগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনটির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, সাধারণ সম্পাদক জুলহাসনাইন বাবু।

এছাড়াও আশুলিয়া শাখার সভাপ্রধান বাবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জিয়াদুল ইসলাম, সাহিদা আক্তার, সাভারের সংগঠক সেলিনা আক্তার, মিরপুরের সংগঠক আসাদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা সম্পাদক কাওসার হামিদ প্রমুখ। সমাবেশে সংহতি বক্তব্য রাখেন, ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক আলিফ দেওয়ান, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্পাদক বাচ্চু ভুইয়া।

সমাবেশে তাসলিমা আখতার বলেন, ২০১৮ সালে নিম্নতম মজুরি বোর্ড পোশাক শ্রমিকদের মজুরি ঘোষণা করার পরে ৩ বছর অতিবাহিত হয়েছে। অন্যদিকে গত ৬ মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে চলে গেছে শ্রমিকদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। চাল, ডাল, তেল, চিনি, ডিমসহ সব পণ্যের দাম এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, শ্রমিকরা এখন আগের চাইতে অর্ধেক কিনেও কুলাতে পারছে না।

খাদ্যপণ্যসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কমানো এবং অবিলম্বে মজুরি বোর্ড গঠন করে পোশাক শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি পুনর্গঠন করার দাবি জানান তিনি।

তাসলিমা আখতার আরও বলেন, করোনা মহামারিতে প্রায় ৩ লাখ শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছে। এখন কাজের চাপ বাড়লেও নতুন করে শ্রমিক নিয়োগ না দিয়ে কম শ্রমিকের ওপর অধিক কাজের ভার চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০১০ সালে যেখানে ফাইভ পকেট প্যান্ট প্রতি ঘণ্টায় তৈরি করা হতো ৫০/৬০টি, এখন একই প্যান্ট তৈরির টার্গেট ঘণ্টা প্রতি ২৪০ থেকে ২৫০টি। একইসাথে শ্রমিকদের জোর করে ৪ ঘণ্টার অধিক সময় ওভারটাইম করতে বাধ্য করা হয়। এতে তরুণ শ্রমিকরা অল্পসময়ের মধ্যেই কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলছেন। এভাবে বাংলাদেশের তারুণ্যের শক্তির অপচয় ঘটছে দারুণভাবে।

সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, চাকরি হারানো শ্রমিকরা, যারা নতুন করে চাকরি পেয়েছেন তাদের মজুরি কমে গেছে। অন্যদিকে গত ৩ বছরে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে দুই বার, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে, এলপিজির দাম বৃদ্ধি করেছে সরকার, বৃদ্ধি করা হয়েছে পানির দামও। ফলে শ্রমজীবী মানুষের বাসা ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে, বেড়েছে যাতায়াত খরচ, বেড়েছে শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যয়। অবিলম্বে সব ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি ঘোষণা করার কোনো বিকল্প নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২১
এমজেএফ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।