ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

হাতির পায়ের তলায় ৪০ একর জমির ধান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২১
হাতির পায়ের তলায় ৪০ একর জমির ধান

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার প্রায় ৪০ একর ধান ক্ষেতে তাণ্ডব চালিয়েছে ভারতের গারো পাহাড় থেকে নেমে আসা বন্যহাতির পাল। এতে কৃষকদের ব‍্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

প্রায় রাতেই উপজেলার ভূবনকুড়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ধানক্ষেতগুলোতে হাতির পাল নামে।  

প্রতিদিন সন্ধ‍্যা নামতেই শত শত কৃষক রাত জেগে পাহারা বসিয়ে পটকা ফাটিয়ে মশাল জ্বালিয়ে লাঠি হাতে সরব থাকলেও বন্ধ করা যাচ্ছে না হাতির তাণ্ডব।

উপজেলার ভূবনকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সুরুজ মিয়া জানান, বিগত কয়েকদিনে স্থানীয়
জামগড়া মহিষলেটি, ধোপাঝুড়ি, কোচপাড়া, রঙ্গমপাড়া এবং কড়ইতলী এলাকায় হাতির তাণ্ডবে কৃষকদের অন্তত ৪০ একর জমির রোপা আমন ধানের গাছ খেয়ে এবং পা দিয়ে পিষ্ট করে নষ্ট করে ফেলেছে হাতির পাল। ফসল রক্ষায় ইউনিয়ন
 পরিষদের তহবিল থেকে কৃষকদের কেরোসিন, টর্চলাইট ও পটকা সরবরাহ করে সহযোগিতা করা হচ্ছে।  

এছাড়া স্থানীয়দের নিয়ে হাতি তাড়াতে গ্রামে গ্রামে কৃষকদের টিম করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। কৃষকরা যেন আর ক্ষতিগ্রস্ত না হন, যোগ করেন চেয়ারম্যান।  

স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানায়, পাহাড়ি বন্যহাতির তাণ্ডবে সীমান্তবর্তী ভূবনকুড়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের ৩২ জন কৃষকের প্রায় ৪০ একরের বেশি জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।  

ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান, বিগত কয়েক বছর হাতির আক্রমণ কম ছিল। কিন্তু এ বছর প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই অন্তত ৫০ থেকে ৭০টি বন্যহাতি খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে এসে ফসল নষ্ট করছে।

ক্ষতিগ্রস্ত কড়ইতলি এলাকার কৃষক মোহাম্মদ আলী জানান, প্রতি রাতে হাতির পাল জমির ধান নষ্ট করছে। বিষয়টি সামাধানে সরকারিভাবে পদক্ষেপ চাই।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান বলেন, হাতির তাণ্ডবে অন্তত ৪০ একর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।  

এ বিষয়ে হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেজাউল করিম বলেন, অবস্থা উত্তরণে স্থানীয় যু্বকদের নিয়ে হাতি প্রতিরোধ টিম গঠন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে সরকারিভাবে সহযোগিতার চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সীমান্তের কিছু এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় অবাধে হাতির পাল নেমে এসে কৃষকের ফসল নষ্ট করছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং বনবিভাগকে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২১
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।