ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ক্লিনফিড না চলায় মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২১
ক্লিনফিড না চলায় মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে

ঢাকা: বিদেশি টিভি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড না চলার কারণে দেশের অর্থনীতি, শিল্পী, শিল্প, সংস্কৃতি ও মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সে কারণেই আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি বলে জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  

শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ইমপ্রেস গ্রুপের কার্যালয়ে চ্যানেল আই টেলিভিশন সম্প্রচারের ২৩তম বর্ষে পদার্পণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা বলেন।

 

ক্লিনফিড না চলার কারণে শুক্রবার থেকে দেশে বিদেশি সব চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে।

আইনানুসারে বিদেশি টিভি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড সম্প্রচার বাস্তবায়নে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী এদিন থেকে চলমান মোবাইল কোর্ট প্রসঙ্গে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, 'বিদেশি টিভি ক্লিনফিড না চালানোর প্রেক্ষিতে কয়েক হাজার কোটি টাকা, যা দেশে লগ্নি হতো, তা বিদেশের চ্যানেলে লগ্নি হয়। আইনভঙ্গ করে বিদেশি চ্যানেলে যদি বিজ্ঞাপন না দেখানো হতো, তবে দেশের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি লাভবান হতো, অর্থাৎ দেশের অর্থনীতি লাভবান হতো। '

ড. হাছান বলেন, ক্লিনফিড না চলার কারণে দেশের অর্থনীতি, শিল্পী, শিল্প, সংস্কৃতি ও মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সে কারণেই আমরা এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।  

ওটিটি প্লাটফর্ম নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ওটিটি প্লাটফর্ম নিয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে, খসড়া সম্পন্ন হয়েছে। নীতিমালা পাশ হলে, প্লাটফর্মগুলোকে তা অনুসরণ করতে হবে এবং কোনো বাত্যয় হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তথ্যমন্ত্রীকে টেলিভিশন মালিক ও সম্প্রচার সাংবাদিকদের অভিনন্দন 

এদিকে বিদেশি টিভি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড সম্প্রচার বাস্তবায়নের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের টিভি চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-অ্যাটকো এবং টিভি চ্যানেলগুলোতে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসি। দেশের সকল টিভিতে মন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে স্ক্রল প্রচারের পাশাপাশি বিজেসি এনিয়ে লিখিত বিবৃতি দিয়েছে।  

বিজেসি'র বিবৃতিতে বলা হয়, '২০০৬ সালের ক্যাবল নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইনে এ বিধান থাকলেও, এর আগে কখোনই এটি কার্যকর করার উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বর্তমান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সাহসী পদক্ষেপকে স্বাগত  জানিয়েছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসি। এতে দেশি টেলিভিশন চ্যানেল শিল্পের আর্থিক সংকট কমবে এবং উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সম্প্রচারকর্মীরাও এর সুফল পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ' 

জীবন ও জাতি গঠনে অনবদ্য গণমাধ্যম

জীবন ও জাতি গঠনে গণমাধ্যম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম, বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  

সকালে ইমপ্রেস গ্রুপের কার্যালয়ে চ্যানেল আই টেলিভিশন সম্প্রচারের ২৩তম বর্ষে পদার্পণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বরেণ্য সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন, সাদী মোহাম্মদ, চ্যানেল আই পরিচালক শাইখ সিরাজসহ চ্যানেলটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর অনলাইনে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।   

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২১
এমআইএইচ/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।