ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

গ্রেফতার আলেমদের মুক্তি চান হেফাজত নেতারা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২১
গ্রেফতার আলেমদের মুক্তি চান হেফাজত নেতারা

ঢাকা: সারাদেশে গ্রেপ্তারকৃত আলেমদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আল্লামা শাহ আহমদ শফী, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, মুফতি আব্দুস সালাম চাটগামীর জীবন ও কর্ম শীর্ষক এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সংগঠনের নেতারা এ দাবি জানান।

শুক্রবার (১ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে হেফাজতে ইসলাম ও তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।

এতে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির আল্লামা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী।

তবে অসুস্থতার জন্য স্মরণ সভায় উপস্থিত হতে পারেননি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির ও তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের প্রধান পৃষ্ঠপোষক আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। তার পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শুনানো হয়।

আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে হেফাজত নেতারা বলেন, সরকার আমাদের অনুরোধে অনেক আলেম-ওলামাকে মুক্তি দিয়েছে। এজন্য আমরা সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা অনুরোধ করবো যারা এখনও জেলে আছেন তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হোক। আশাকরি সরকার আমাদের অনুরোধ রক্ষা করবে।

লিখিত বক্তব্যে হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, যাদের স্মরণে আজকের এ আয়োজন, তারা সবাই আমার অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন। হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী ছিলেন বাংলাদেশের আলেম সমাজের অভিভাবক। তিনি নাস্তিক্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশের আলেম সমাজের মধ্যে বিশাল শূন্যতা তৈরি হয়েছে।

সংগঠনের সদ্যপ্রয়াত আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে হেফাজত আমির বলেন, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী একজন প্রসিদ্ধ শাইখুল হাদিস, লেখক ও সংগঠক ছিলেন। তিনি হেফাজতের আন্দোলনের শুরু থেকে মাঠে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ জন্য তাকে জেল-জুলুম সহ্য করতে হয়েছে। এতোকিছুর পরেও তাকে কেউ নীতি থেকে সরাতে পারেনি। নানা অপবাদ দেওয়া হয়েছে তার নামে।

মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী বলেন, হেফাজতে ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর প্রতিষ্ঠিত সংগঠন। তিনি যে উদ্দেশ্যে হেফাজতকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, আমরা সে উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আন্তর্জাতিক মজলিসের তাহাফফুজে খতমে নবুওতেরও দীর্ঘসময় আমিরের দায়িত্ব পালন করেছেন আল্লামা আহমদ শফী। হেফাজত ও খতমে নবুওয়াত দুটাই সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন এবং এর সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক নেই।

তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই আমাদের কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা বা উচ্চাভিলাষ নেই। আমরা কেবল অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে কাজ করে যেতে চাই। আল্লামা শাহ আহমদ শফীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা আমাদের ঈমানি দাবি আদায়ের জন্য কাজ করে যাব।

দোয়া ও স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- হেফাজতের সিনিয়র নায়েবে আমির আতাউল্লাহ হাফেজ্জি, নায়েবে আমির মাওলানা আবুল কালাম, মোবারক উল্লাহ, বেফাক মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, হেফাজত নেতা মুফতি হাবিবুর রহমান, মাহমুদুল হাসান ফতেহপুরী, আশরাফ আলী নিজামপুরী, আব্দুল আউয়াল, মীর ইদ্রিস, নুরুল আফসার আজহারী, কেফায়েতুল্লাহ আজহারী, রশিদ আহমদ, মহিউদ্দিন রাব্বানী, মুসা বিন ইজহার, মাওলানা ফয়সাল।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২১
এমএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।