ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে এক দাদন ব্যবসায়ীর ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব ২০টি পরিবার। এ অবস্থায় মামলা-হামলার বিচার দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী আবু নাসের সরকারসহ আরও অনেকে।
অভিযুক্ত ওই দাদন ব্যবসায়ীর নাম আব্দুল জলিল ওরফে আসাম জলিল। তিনি গফরগাঁও উপজেলার রাওনা ইউনিয়নের আফছার উদ্দিনের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আবু নাসের বলেন, ব্যবসায়িক কাজে ও অভাবের তাড়নায় আব্দুল জলিলের কাছ থেকে চেকের মাধ্যমে সুদে টাকা নেই। কথা মতো সেই টাকা পরিশোধ করলেও জলিল তার কাছে থাকা চেকে নিজের মতো টাকার পরিমাণ বসিয়ে ২০ জনের নামে ৬ কোটি টাকার মামলা দায়ের করেছেন। এতে আমিসহ ২০টি পরিবার তার প্রতারণামূলক মিথ্যা মামলার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব।
শুক্রবার (১ অক্টোবর) দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন ভুক্তভোগী আবু নাসের সরকারসহ ভুক্তভোগীরা এ কথা বলেন।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবু নাসের আরও বলেন, প্রভাবশালী দাদন ব্যবসায়ী জলিলের রোষানলে পড়ে আমি সর্বশান্ত। তার মিথ্যে মামলায় ৯ মাস জেল খেটেছি। গত কয়েক বছর ধরে পুলিশ ও জলিলের ভয়ে পরিবার নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ২০ মে জলিলের কাছ থেকে ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা ধার করি। সময় মতো আমি সিসি জমা তোলার জন্য চেক দেই জলিলকে। পরে ১ লাখ টাকা নিজ হাতে পরিশোধ করি এবং সোনালী ব্যাংকের শিবগঞ্জ শাখার মাধ্যমে তার সঙ্গে লেনদেন শেষ করি। সেই ব্যাংক স্টেটমেন্টে লেনদেনের প্রমাণ রয়েছে।
কিন্তু পরবর্তীকালে জলিল মিথ্যা সাক্ষী সাজিয়ে তার কাছে থাকা চেকে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বসিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা দেন। এ মিথ্যা মামলায় আমি ৯ মাস সাজা ভোগ করেছি। মামলায় হাজিরা দিতে এসে ময়মনসিংহ নগরীর জিরো পয়েন্টে জলিলের হামলার শিকারও হয়েছি।
অথচ, এক সময় জলিলের সংসারে নুন আনতে পান্তা পুড়ালেও এখন তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নাজিম উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, ডা. আব্দুল গফুর, আব্দুল লতিফ মাষ্টার, সুরাইয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২১
এসআরএস