ঢাকা: বঙ্গবন্ধু সারাজীবন নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করেছেন বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর ) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় ইউল্যাব ইউনিভার্সিটিতে 'স্বরণে শেখ মুজিব' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করেছেন। বঙ্গবন্ধু জানতেন, এটা থেকে এক বিন্দুও সরে যাওয়ার সুযোগ নেই। তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির পথেই যেতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ব্যর্থ করতে বঙ্গবন্ধুকে বারবার তার লক্ষ্য থেকে বিচ্যুতের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কখনোই লক্ষ্যচ্যুত হননি।
বঙ্গবন্ধুর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৯ জানুয়ারি ভুট্টো যখন বললেন তিনি পূর্বপাকিস্তানে (বাংলাদেশ) এসে মিটিং করবেন না। পূর্বপাকিস্তানে কেউ আসলে রক্ত বয়ে যাবে- তার এ কথা শুনে বঙ্গবন্ধু উত্তেজিত হতে পারতেন। কিন্তু তিনি উত্তেজিত হননি। কারণ বঙ্গবন্ধু নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করতেন, নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন। বঙ্গবন্ধু জানতেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সে সময় প্রতিটা পদক্ষেপ খুবই চিন্তা করে নিতে হবে। সে কারণে তখন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।
আইন মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণ দিলেন, তখন ভাষণের সীমাবদ্ধতা জানতেন। তখন তিনি কিন্তু এই ঘোষণার ম্যান্ডেট পাননি। যেই মুহূর্তে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের মানুষের ওপর আক্রমণ করলো, তখন তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা করলেন। কারণ তিনি সে সময় ম্যান্ডেট প্রাপ্ত হন। জনগণের যেই ম্যান্ডেট নিয়ে তিনি নির্বাচনে জিতেছিলেন। এরপরও ৭ মার্চের ভাষণে তিনি কিছু বলতে বাকিও রাখেনি। ৭ মার্চের ভাষণের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটাই। তিনি ভাষণে সবকিছুই আইনের মধ্যে থেকেই বলেছেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় কমিটির প্রধান সমন্নয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সন্মানিত অতিথি ছিলেন ইউল্যাবের বোর্ড অব ট্রাস্টি এবং সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ।
অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় শুভেচছা বক্তব্য দেন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। আর সূচনা বক্তা ছিলেন ইউল্যাবের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. সামসাদ মুর্তজা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২১
আরকেআর/এমএমজেড