ঢাকা, সোমবার, ২০ মাঘ ১৪৩১, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ক্যাবল ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশন করতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২১
ক্যাবল ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশন করতে হবে

ঢাকা: আগামী ১ নভেম্বর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ মেট্রোপলিটন শহরগুলোতে ক্যাবল ব্যবস্থায় অবশ্যই ডিজিটাইজেশন নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।  

তিনি বলেন, ডিজিটাইজেশন না হওয়ার কারণে সরকার বছরে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।

একইসঙ্গে কোনো কোনো টেলিভিশন পে চ্যালেন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চাইলেও ডিজিটাইজেশন না থাকায় তারা তা পারছেন না।

সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।

ক্লিনফিড নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে হাছান মাহমুদ বলেন, যে সমস্ত বিদেশি টেলিভিশনগুলো ক্লিনফিডবিহীন বিজ্ঞাপন দিয়ে পাঠাতো, সেগুলো বন্ধ রেখেছি। শুরুতে যেসব টেলিভিশনগুলো ক্লিনফিড পাঠাতো, ক্যাবল অপারেটররা সেগুলো বন্ধ রেখেছিল। পরবর্তীতে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়ার পর সেগুলো চালু হয়েছে।

তিনি বলেন, ক্লিনফিড পাঠানোর দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট চ্যালেনের, ব্রডকাস্টদের। এখানে তাদের যারা এজেন্ট আছে তাদেরও কিছুটা দায়িত্ব, অন্যদের দায়িত্ব এটা না। যে সমস্ত চ্যানেল আমাদের দেশে ক্লিনফিড পাঠাতো না আমাদের থেকে পাঁচ শতাংশের এক শতাংশ শ্রীলংকা সেখানে কী ক্লিনফিড পাঠাতো, আমাদের থেকে বাজার আট-নয় শতাংশের এক শতাংশ নেপাল, সেখানেও তারা ক্লিনফিড পাঠাতো। কিন্তু আমাদের এখানে পাঠাতো না।  

আমরা ক্লিনফিড বাস্তবায়ন করেছি এবং অবশ্যই অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ক্লিনফিড লিংক পাঠালে এখানে সম্প্রচার হবে, তাতে কোনো বাধা নেই, আমাদের আকাশ উন্মুক্ত। এতদিন আমাদের এখানে না পাঠানোর কারণ হচ্ছে যারা চ্যানেলগুলো চালাতো, তারা দেশের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাতো। তাদের সহায়তায় এ ব্রডকাস্টাররা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাতো। ১ তারিখ আইন কার্যকর করার পরও ডাটিফিডের পক্ষে এখানে সংবাদ সম্মেলন করেছে। এরাই কিন্তু বছরের পর বছর দেশের আইনকে তোয়াক্কা না করার ওকালতি করেছে বিদেশি চ্যানেলগুলোর পক্ষে। যেটা সমীচীন হয়নি বলেন তিনি।  

ক্যাবল ব্যবস্থাপনায় ১ নভেম্বর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ মেট্রোপলিটন শহরগুলোতে ডিজিটাইজেশন নিশ্চিত করা হবে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, আমি সেটি আবার মনে করিয়ে দিচ্ছি। তবে ক্যাবল অপারেটরদের পক্ষ থেকে একটি আবেদন দেওয়া হয়েছে, সেটি কী আবেদন তা এখনো আমার টেবিলে আসেনি। সেটি আমরা দেখব। তবে অবশ্যই ডিজিটাইজেশন করতে হবে। ডিজিটাইজেশন না হওয়ার কারণে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে বছরে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা। একইসঙ্গে কোনো কোনো টেলিভিশন চায় পে চ্যালেন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার, তারা তা পারছে না ডিজিটাইজেশন না থাকার কারণে।  

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ক্যাবল অপারেটররা ফিড অপারেটরের মাধ্যমে সম্প্রচার করে। এখন ফিড অপারেটর ১০ হাজার বা এক হাজার জনকে লাইন দিয়েছে, কিন্তু সে দেখায় ২০০ জনকে লাইন দিয়েছে। শুধু দুইশ জনের পয়সায় ফিড অপারেটরের কাছ থেকে ক্যাবল অপারেটর পায়। সুতরাং ডিজিটাইজেশন হলে দেশের লাভ, দেশের অর্থনীতির লাভ এবং এ সম্প্রচার মাধ্যমের সঙ্গে জড়িত টেলিভিশন ক্যাবল অপারেটরসহ সবাই লাভবান হবে। সার্বিকভাবে এ পুরো সম্প্রচার মাধ্যমটা লাভবান হবে। এজন্য আমরা ডিজিটাইজেশনে করতে বদ্ধপরিকর।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২১
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।