ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ২ কর্মকর্তাকে হেনস্তায় তদন্ত শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২১
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ২ কর্মকর্তাকে হেনস্তায় তদন্ত শুরু ফাইল ফটো

রাজশাহী: রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে দুই কর্মকর্তাকে হেনস্তা করার ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠন করা তদন্ত কমিটির তিন সদস্য সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে যান।

 

এ সময় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্টদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এ সময় ঘটনার দিনের সিসিটিভির ফুটেজও দেখে ওই তদন্ত কমিটি।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা বোর্ড থেকে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা বলেন- ‘আমরা তদন্ত শুরু করেছি। সেই দিনের সিসিটিভির ফুটেজও দেখেছি। এখানে পক্ষপাতিত্বের কোনো সুযোগ নেই। সঠিক, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবেই ওই দিনের ঘটনার তদন্ত করা হবে’।  

তদন্ত শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট দাখিল করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তদন্ত কমিটির সদরা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গঠন করা ওই কমিটির প্রধান হলেন- ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড কমিটির সমন্বয়ক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।  

তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন ও হিসাব ও নিরীক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।  

এর আগে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিবের কক্ষে সচিবসহ দুই কর্মকর্তাকে হেনস্তার ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে দেন বোর্ড চেয়ারম্যানও। গত ২৭ সেপ্টেম্বর বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহা. মোকবুল হোসেন এ কমিটি গঠন করে দেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. আনিসুর রহমানকে ওই কমিটির প্রধান করা হয়। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহা. শহিদুল আলম ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য মোহাম্মদ ইয়াহিয়া।

এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড অফিসার্স কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হোসেনসহ কয়েক সদস্যের হাতে নিজ দফতরে চরম হেনস্তার শিকার হন এই শিক্ষা বোর্ডের সচিব প্রফেসর ড. মোয়াজ্জেম হোসেন ও হিসাব বিভাগের উপ-পরিচালক অধ্যাপক মো. বাদশা হোসেন। তবে ওই দিন বোর্ডের সচিবের কক্ষে অফিসার্স কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হোসেন ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র সেনকে আটকে রাখা হয়েছিল বলে উল্টো বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেন তারা। তাদের ভাষ্যমতে সচিবের কক্ষে তাদের বেতনশিটসহ গোপনীয় কাগজপত্র ফটোকপি করা হচ্ছিলো। এর প্রতিবাদ করতে যাওয়ায় তাদের আটকে রাখা হয়। এ সময় পুলিশে তুলে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।  

কিন্তু সচিব অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন ও উপ-পরিচালক অধ্যাপক মো. বাদশা হোসেনের অভিযোগ, ওয়ালিদ হোসেন ও মানিক চন্দ্র সেন তাদের লাঞ্ছিত করতেই গিয়েছিলেন এবং তারা ওই দুজনের হাতে হেনস্তার শিকার হন। পরে এ ঘটনা তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই ফুটেজে দেখা যায়- অফিসার্স কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বোর্ডের উপসচিব ওয়ালিদ হোসেন সচিবের কক্ষে ঢুকে হিসাব বিভাগের উপ-পরিচালক অধ্যাপক বাদশা হোসেনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ কাজে আপত্তি করলে ওয়ালিদ হোসেন বোর্ড সচিব প্রফেসর ড. মোয়াজ্জেম হোসেনকে চড় মারতে উদ্যত হন।

বাংলাদেশ সময়: ০১৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২১
এসএস/আরএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।