ময়মনসিংহ: এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় রিপন মিয়া (২৭) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম।
সোমবার (১১ অক্টোবর) ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে তিন জনকে আসামি করে ভালুকা মডেল থানায় মামলা করেন।
গ্রেফতার রিপন একই জেলার গফরগাঁও উপজেলার বরাইল গ্রামের রতন মিয়ার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরীর অন্ধ বাবা উপজেলার তামাট গ্রামের বাসিন্দা। মামলার বাদী অন্ধ স্বামীকে বাড়িতে রেখে রাস্তায় কার্পেটিংয়ের কাজ করতেন। আর অন্ধ বাবাকে দেখাশোনার জন্য তার কিশোরী মেয়েকে বাড়িতে রেখে যেতেন। দিনে মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে রিপন মিয়া প্রায় সময় আসা-যাওয়া করতেন। সেই সুবাদে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিভিন্ন সময় প্ররোচণা ও প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন রিপন। গত শনিবার (৯ অক্টোবর) কিশোরী তামাট বাজারে যাওয়ার পথে একই গ্রামের আ. রহমান খার ছেলে উসমান খাঁ (৩৪), ওই গ্রামের আব্দুল মাজিদ খাঁর ছেলে অ্যাডওয়ার্ড খান মনিরের সহযোগিতায় কিশোরীকে সিএনজিচালিত অটোরিশায় উঠিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন রিপন। রোববার (১০ অক্টোবর) দুপুরে তামাট বাজারে কিশোরীকে পাওয়া যায়। সোমবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে তিন জনকে আসামি করে ভালুকা মডেল থানায় মামলা করেন। পরে ওইদিন রাতেই রিপনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম জানান, ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার আভিযোগে প্রধান আসামি রিপনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২১
এসআরএস