ঢাকা: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১৭টি নথি গায়েবের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক অতিরিক্ত সচিবের ব্যক্তিগত সহকারীসহ আরো তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। এ নিয়ে এ ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের ৯ জন কর্মচারী ও একজন ঠিকাদারসহ ১০ জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বিকেলে সর্বশেষ তিনজনকে সিআইডি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়।
সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আরও তিনজন কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। রাজশাহী থেকে আটক ঠিকাদার নাসিমুল গনি টোটনসহ মোট ১০ জনকে সিআইডি কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, নতুন যে তিন কর্মচারীকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে তারা হলেন- অহিদ খান, সেলিম ও হাবিব। এরমধ্যে অহিদ খান মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা।
এর আগে, ৩১ অক্টোবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ছয় কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয় সিআইডি। তারা হলেন- বেল্লাল পলাশ, আব্দুল বারী, আয়েশা সিদ্দিকা, যোশেফ সরদার, বাদল ও মিন্টু। সোমবার (১ নভেম্বর) রাতে রাজশাহী থেকে ঠিকাদার টোটনকে ঢাকায় নিয়ে আসে সিআইডি।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে ১৭ নথিসহ একটি ফাইল হারিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে গত ২৮ অক্টোবর শাহবাগ থানায় জিডি করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাদিরা হায়দার।
জিডিতে বলা হয়েছে, বুধবার (২৭ অক্টোবর) অফিস করে নথিগুলো ফাইল কেবিনেটে রাখা হয়। পরদিন দুপুর ১২টায় কাজ করতে গিয়ে দেখা যায় ফাইলগুলো কেবিনেটের মধ্যে নেই। জিডিতে ১৭টি নথির নম্বর ও বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা গেছে, যে নথিগুলো খোয়া গেছে সেগুলোর সিংহভাগই স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের অধীন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও বিভাগের কেনাকাটা সম্পর্কিত।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২১
পিএম/এএটি