কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় একসঙ্গে চার মেয়ে ও এক ছেলে জন্ম নেওয়ার মধ্যে ছেলেসহ তিন শিশু মারা গেছে। জন্মের ২৭ ঘণ্টার মধ্যে মারা গেছে শিশু তিনটি।
বুধবার (০৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথম মারা যায় ছেলে সন্তানটি। পরে একে একে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আরো দুটি মোট তিনটি সন্তান মারা গেল।
এ অবস্থায় জীবিত অপর দুইশিশুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. নাজিম উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, শিশু পাঁচটি জন্মের সময় অপরিপক্ব অবস্থায় জন্ম নিয়েছে। তাদের ওজন অনেক কম। তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সাপোর্ট এখানে নেই। তাই আমরা শিশুগুলোকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। এরমধ্যে ছেলে শিশুটি বুধবার সকালে ছেলে সন্তান মারা গেছে। পরে সন্ধ্যা পর্যন্ত আরো দুটি মেয়ে সন্তান মারা গেছে। অপর দুই শিশুর অবস্থাও বিপদমুক্ত না হওয়ায় তাদের ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। তবে শিশুগুলোর মা সুস্থ রয়েছেন।
পাঁচ সন্তানের বাবা সোহেল রানা বাংলানিউজকে জানান, সন্তান জন্মের পরপরই চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী অথবা ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি একজন চা বিক্রেতা আমার পক্ষে এতো ব্যয়বহুল চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি। হয়তো উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করাতে পারলে আমার সবকয়টি সন্তানই আল্লাহ্ পাকের রহমতে বাঁচানো যেতো। এমন অবস্থায় সমাজের বিত্তবানদের কাছে আকুল আবেদন তারা যেন আমার এই বিপদের মুহূর্তে পাশে এসে দাঁড়ায়।
কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের সোহেল রানার স্ত্রী সাদিয়াকে (২৪) সোমবার রাত ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন সকাল ১০টায় প্রসূতি মায়ের ব্যথা অনুভবের ১৫ মিনিট পরই তিনি নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন। এরপর থেকেই মা সুস্থ থাকলেও শিশুরা ছিল ঝুঁকিতে।
>>> ৫ শিশুর জন্ম: মারা গেল ছেলে শিশুটি
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২১
এনটি