ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বান্দরবানে কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২১
বান্দরবানে কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপন

বান্দরবান: বান্দরবানে সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপিত হয়েছে।
 
শুক্রবার (৫ নভেম্বর ) বান্দরবান সদরের রোয়াংছড়ি বাসস্টেশন সংলগ্ন সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারের দায়ক-দায়িকার আয়োজনে দানোত্তম এই শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপিত হয়।


 
কঠিন চীবরদান উপলক্ষে ভোর ৫টায় বিশ্বশান্তি মঙ্গল কামনায় সূত্রপাঠ, জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, পূজনীয় ভিক্ষুসংঘের প্রাতঃরাশ, বুদ্ধপূজা, অষ্টপরিষ্কার দান, মহাসংঘদান ও কঠিন চীবরদান ও ধর্মদেশনা প্রদানকরা হয়।
 
এসময় ধর্মদেশনা প্রদান করেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া-লোহাগাড়া ভিক্ষু সমিতির সভাপতি ভদন্ত রত্নপ্রিয় মহাথের, রামু প্রজ্ঞামিত্রবনবিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত সারমিত্র মহাথের, বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয়বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত চন্দ্র জ্যোতি স্থবির, আবাসিক ভিক্ষু ভদন্ত পরমানন্দ ভিক্ষুসহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষরা।
 
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি বেসান্ত বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক প্রজ্ঞাসার বড়ুয়া পাপন, অর্থ সম্পাদক জয়সেন বড়ুয়া, বান্দরবান পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র দিলীপ  বড়ুয়াসহ বিহারের দায়ক-দায়িকা ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা।
 
জানা যায়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টাটকা চীবর (কাপড়) তৈরি করার পর তা ভিক্ষুদের দানের মাধ্যমে কায়িক, বাচনিক ও মানসিক পূণ্য সঞ্চয় হয় বলেই বৌদ্ধ শাস্ত্রে এই দানকে ‘ শ্রেষ্ঠদান ’ কিংবা কঠিন চিবর দান বলে, আর এই কঠিন চীবর দানের মধ্য দিয়ে সুখ শান্তি লাভের আশায় বান্দরবানের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা পুরো মাস জুড়ে বিভিন্ন বিহারে বিহারে জড়ো হয়ে চীবর তৈরি করে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের প্রদান করে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।