ঢাকা, শুক্রবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

ট্রেনে বগি বাড়িয়েও কমছে না দুর্ভোগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২১
ট্রেনে বগি বাড়িয়েও কমছে না দুর্ভোগ

রাজশাহী: বাস মালিকদের ডাকা পরিবহন ধর্মঘটে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।  

শনিবার (৬ নভেম্বর) পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে জনভোগান্তিও বেড়েছে দ্বিগুণ।

বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চাপ পড়েছে ট্রেনে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত যাত্রীচাপ সামলাতে রাজশাহী থেকে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনে একটি করে বগি বাড়ানো হয়েছে।  

তবে বাস বন্ধ থাকায় টিকিট নেই ট্রেনের। তাই চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। অনেকে জরুরি কাজ থাকায় স্ট্যান্ডিং টিকিট নিয়েই ট্রেনে উঠে পড়ছেন। পুরো রাস্তা ট্রেনের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকেই নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ বাড়তি টাকা দিয়ে কার, মাইক্রোবাস বা সিএনজিচালিত হিউম্যান হলারসহ বিভিন্ন পরিবহনে বিকল্প পথে গন্তব্যের উদ্দেশে রাজশাহী ছাড়ছেন।  

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার জাহিদুল ইসলাম বলেন, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অধীনে মোট ১৩ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। এছাড়া মেইল ট্রেন চলে তিনজোড়া এবং কমিউটর ট্রেন চলে দুই জোড়া। এর মধ্যে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলাচলরত বিরতিহীন ট্রেন বনলতা এক্সপ্রেসের সাপ্তাহিক বন্ধ ছিল। আর রোববার (৭ নভেম্বর) আন্তঃনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে।  

সব মিলিয়ে প্রতিটি ট্রেনেই যাত্রীদের বাড়তি চাপ রয়েছে, যা সামলাতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে বেগ পেতে হচ্ছে। কোনো ট্রেনেই টিকিট নেই। এমনিতেই ট্রেনে সব সময় ভিড় থাকে। এর ওপর বাস চলাচল বন্ধ। ফলে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি যাত্রী নিয়ে প্রতিটি ট্রেন রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনে একটি করে বাড়তি বগি সংযুক্ত করা হয়েছে। এরপরও কোনোভাবে যাত্রীদের চাপ সামলানো যাচ্ছে না বলে জানান রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার।  

এদিকে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে রাজশাহীর সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে সড়ক পরিবহণ গ্রুপ। তাদের এই কর্মসূচিতে একাত্মতা জানিয়েছে রাজশাহী জেলা মোটরশ্রমিক ইউনিয়নও। তাই রাজশাহীর আন্তঃজেলা রুটের কোনো বাস চলাচল করছে না। সেই সঙ্গে দূরপাল্লার বাস চলাচলও বন্ধ রয়েছে।

হঠাৎ করে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সারা দেশের মতো বিভাগীয় শহর রাজশাহীতেও জনভোগান্তি বেড়েছে। শনিবারও অনেকে কাউন্টারে আসেন বাস কবে থেকে চলবে তা জানার জন্য। কিন্তু কারও কাছে বাস চলাচলের কোনো তথ্য না পেয়ে ফিরে যান। বাস বন্ধ, ট্রেনেও টিকিট নেই! এ কারণে সাপ্তাহিক ছুটিতে আসা অনেক চাকরিজীবী রাজশাহী থেকে ঢাকার কর্মস্থলে ফিরতে পারছেন না। জনভোগান্তি লাঘবে জ্বালানি তেলের দাম বিবেচনা করতে সরকারের প্রতি আহ্বায়ক জানিয়েছেন তারা।  

অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটে জনভোগান্তির বিষয়টি স্বীকার করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক সাফকাত মঞ্জুর বিপ্লব জানান, ডিজেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বেড়ে যাওয়ায় সড়কে বাস চালাতে গেলে তাদের ভর্তুকি দিতে হবে। তবে তিনি করোনার কারণে সব সেক্টরের ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনা করে পরিবহণের ভাড়া না বাড়িয়ে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর পরামর্শ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২১
এসএস/জেএইচটি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।