ঢাকা: ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (কেরানীগঞ্জ) ১০ হাজার বন্দির মধ্যে তিনজন দৃষ্টিহীন। তারা দুই চোখে একেবারেই দেখতে পান না।
কারাগারের একটি সূত্র জানায়, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এই তিনজনের মধ্যে দু’জন সাজাপ্রাপ্ত ও একজন হাজতি। তারা হলেন—কয়েদি মনা মিয়া, কয়েদি খুরশিদ আলম ও হাজতি আনিসুর রহমান।
সূত্রটি আরও জানায়, একে তো কারাগারে বন্দি তার ওপর আবার দুই চোখে একেবারেই দেখতে পান না। যতটুকু সম্ভব অন্য বন্দিদের সহযোগিতা নিয়ে কারাগারে চলাচল করেন তারা।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান শুভ বলেন, যেসব বন্দি অচল ও অক্ষম তাদের কারাগারের মেঘনা ভবনে রাখা হয়। দৃষ্টিহীন ওই তিন বন্দিকে সেখানে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জন কয়েদি ও একজন হাজতি।
তিনি আরও বলেন, দৃষ্টিহীন তিন বন্দি দীর্ঘদিন যাবত আমাদের কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। তারা বিভিন্ন জেলা থেকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার কারাগারে আসেন। তাদের চোখের চিকিৎসার জন্য ১০ থেকে ১২ বার আগারগাঁওয়ে জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। এই তিন বন্দির মধ্যে কয়েদি মনা মিয়ার ডায়াবেটিসসহ নানা রোগ থাকায় তার দুই চোখে আর আলো ফিরে পাবার সম্ভাবনা নেই। বাকি দুজনও দুই চোখে একেবারেই দেখতে পারেন না। তবে তাদের চিকিৎসা চলছে জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী। এ দু’জন তাদের চোখের দৃষ্টি ফিরে পেতে পারেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
কারা চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান বলেন, ১৭২ বেডের কারা হাসপাতালে কোনো চোখের চিকিৎসক নেই। বন্দি দৃষ্টিহীনদের চিকিৎসার জন্য কারাগারের বাইরে সরকারি হাসপাতালে নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নাই।
তিনি জানান, আজ সবশেষ হিসাব অনুযায়ী ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ১০ হাজার ৩১৭ জন বন্দি আছেন। তাদের মধ্যে ওই তিনজন দৃষ্টিহীন।
কারাগারের আরেকটি সূত্র জানায়, তিনজন দৃষ্টিহীনের মধ্যে দু’জন কয়েদি বছরের পর বছর ধরে কারাবন্দি হয়ে আছেন। তাদের দু’জনেরই বয়স পঞ্চাশোর্ধ্ব। তারা অন্য জেলা কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এসেছেন। দীর্ঘদিন ধরে এই কারাগার থেকে তাদের চিকিৎসা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২১
এজেডএস/এমজেএফ