রাজশাহী: রাজশাহী রেলস্টেশনে চালু হয়েছে অটোমেটিক ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্ট।
সোমবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলক উন্মোচন ও ফিতা কেটে অটোমেটিক ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ রেলওয়েকে যুগোপযোগী ও আধুনিক করে গড়ে তুলছেন। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দুইটি অটোমেটিক ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্ট যোগ হলো।
বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রথম স্বয়ংক্রিয় অত্যাধুনিক ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
মেয়র আরও বলেন, সরকার নতুন যাত্রীবাহী কোচ ও লোকোমোটিভ কোচ সংগ্রহ করছে। যমুনা সেতুতে যাতায়াতের জন্য পৃথক রেললাইন স্থাপন করা হচ্ছে। রাজশাহী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত যাতায়াতে রেললাইন স্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের নানামুখী উদ্যোগের ফলে এ সব উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ। স্বাগত বক্তব্য দেন চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কুদরত ই খুদা।
বক্তব্য দেন চিফ অপারেটিভ সুপারিনটেনডেন্ট শহীদুল ইসলাম, বিভাগীয় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (পাকশি) মমতাজুল ইসলাম, বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক (পাকশী) শাহীদুল ইসলাম। আরো বক্তব্য দেন রেলওয়ে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি ওয়ালী খান, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্তার আলী, রাজশাহী রেলওয়ে শ্রমীক লীগ ওপেন লাইন শাখার সভাপতি জহরুল ইসলাম, আরবিআর শাখার সভাপতি মোতাহার হোসেন প্রমুখ।
আজ রেলওয়েতে প্রথম স্থাপিত ২টি অটোমেটিক ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্টের উদ্বোধন করা হলো। এরই মধ্যে ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে ১টি অটোমেটিক ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
রাজশাহীতে ফলক উন্মোচন ও ফিতা কেটে ১টি অটোমেটিক ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাসিক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে জানিয়েছে, রেলওয়ের জন্য মিটারগেজ ও ব্রডগেজ যাত্রীবাহী কোচ সংগ্রহ প্রকল্পের আওতায় নতুন স্থাপিত অটোমেটিক ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্টের প্ল্যান্টের মাধ্যমে অল্প সময়ে ট্রেনের উভয় পাশের, ছাদ, এবং আন্ডার গিয়ার সচারুভাবে পরিষ্কার করা যাবে। এই প্ল্যান্ট প্রতিদিন কমপক্ষে ১ লাখ লিটার বানি সাশ্রয় করবে এবং ব্যবহৃত পানির ৭০ শতাংশ রি-সাইকেল করে আবারও ব্যবহার উপযোগী করবে।
ইউএসএ থেকে সংগৃহীত এই প্ল্যান্ট অটোমেটিক ও ম্যানুয়াল উভয় মুডে অপারেট করা যায়। গড়ে ১০ মিনিটে ১৪ কোচের একটি ট্রেন পরিষ্কার করা যাবে। অত্যাধুনিক এই প্ল্যান্ট পরিবেশবান্ধব ও ব্যয় সাশ্রয়ী। স্টেশনের ওয়াশফিল্ডে প্রতিদিন ট্রেনের ট্রিপ শেষে নিয়মিত ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে হাত ও ব্রাশ দিয়ে ঘষে ঘষে ট্রেনের ভেতরের ও বাইরের অংশ পরিষ্কারের কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ট্রেনের বগি পরিষ্কার করতে ৪০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় ব্যয় হয়। তাই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ট্রেন পরিষ্কার করতে অটোমেটিক ওয়াশিং প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ শুরু করে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২১
এসএস/এএটি
