ঢাকা, শুক্রবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সন্ধ্যায় রাস্তার পাশে পিঠা বিক্রির ধুম

হারুন-অর-রশীদ, ডিস্ট্রিক্ট করসেপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০২১
সন্ধ্যায় রাস্তার পাশে পিঠা বিক্রির ধুম

ফরিদপুর: শীত এলেই ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন ব্যস্ত সড়কের পাশে পিঠা বিক্রির ধুম পড়ে যায়। এবারও শীত শুরু হতে না হতেই বোয়ালমারী পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে এবং জনসমাগম এলাকায় পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে।

পৌর এলাকার চৌরাস্তার উভয় পাশসহ হাসপাতালের সামনে ও মন্দিরের পাশের বিভিন্ন স্থানে সন্ধ্যার শুরু থেকেই পিঠা বিক্রির ধুম পড়ে যায়। ক্রেতারাও পরম তৃপ্তির সঙ্গে স্বল্প মূল্যে লুফে নেন এসব পিঠা। পিঠা বাংলার চিরায়ত গ্রামীণ খাদ্য সংস্কৃতিতে পিঠার স্থান উল্লেখযোগ্য।

প্রতি বছর শীত মৌসুম এলেই পৌরসভার বিভিন্ন সড়কের পাশে পিঠা তৈরির ব্যস্ততা চোখে পড়ে। শহরের ব্যস্ততার মধ্যে পৌর এলাকার নারীদের আর এখন গ্রামের নারীদের মতো পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটানোর অবকাশ নেই। তাই বোয়ালমারী বাজারের বিভিন্ন সড়কের পাশে শীতের শুরুতেই পিঠা বানিয়ে বিক্রি করছেন নিম্ন আয়ের মানুষ, বিশেষ করে নারীরা। পিঠা বিক্রি করে তারা সংসারও চালাচ্ছেন। অসচ্ছলতার কারণে কেউ কেউ পিঠে বিক্রি করে পরিবারের সদস্যদের অর্থ যোগান দিচ্ছেন।

পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের নান্নু কমিশনারের বাড়ির সামনের ফাঁকা জায়গায় বসে চিতই পিঠা বিক্রি করছেন ছোলনা গ্রামের ফরহাদ মোল্যা।

তিনি জানান, প্রতিদিন পিঠা বিক্রি করে ৫০০ টাকার মতো আয় হয়। যা তিনি সংসারের জন্য ব্যয় করেন। শীত মৌসুম শেষ হলে তিনি এ পেশার পরিবর্তন আনেন।

বোয়ালমারী পৌর শহরের রেলস্টেশন, চৌরাস্তা, মহিলা কলেজ মোড়, বিলাসী শপিংমল, তালতলা, ডাকবাংলো মোড়ের ফুটপাতের পিঠার দোকানে সন্ধ্যা নামলেই মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এসব পিঠার দোকানে ক্রেতা স্থানীয় মধ্যবিত্ত, দরিদ্র শ্রেণির মানুষ।

এসব পিঠার মধ্যে ভাপা ও চিতই পিঠার কদর সবচেয়ে বেশি। প্রতি পিস চিতই পিঠা পাঁচ টাকা এবং ভাপা পিঠা ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পিঠা বিক্রেতারা জানান, ভাপা পিঠা তৈরির উপকরণ হচ্ছে চালের গুঁড়া, নারকেল ও খেজুরের গুড়। গোল আকারের পাতিলে কাপড় পেচিয়ে ঢাকনা দিয়ে পাতিলের ফুটন্ত পানিতে ভাপ দিয়ে তৈরি হয় ভাপা পিঠা। অন্য দিকে চালের গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে মাটির সাচে বিশেষ উপায়ে তৈরি করা হয় চিতই পিঠা। এই পিঠা বিক্রি চলবে শীত মৌসুম পর্যন্ত।

বোয়ালমারী পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ চরপাড়ার ফুটপাতের পিঠা বিক্রেতা সুফিয়া বেগম বাংলানিউজকে জানান, শীত মৌসুম এলে সন্ধ্যায় পিঠা বিক্রি করেন তিনি। প্রতিদিন প্রায় তার ২০০ টাকার পিঠা বিক্রি হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২১
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।