ঢাকা, শুক্রবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নরসিংদীতে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় আসামি ১৫০

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০২১
নরসিংদীতে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় আসামি ১৫০

নরসিংদী: নরসিংদীর চরাঞ্চল আলোকবালীতে ইউপি নির্বাচন কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে।  

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে প্রধান আসামি করে ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

রোববার (০৭ নভেম্বর) রাতে নিহত আমির হোসেনের চাচা স্বপন মিয়া বাদী হয়ে নরসিংদী সদর মডেল থানায় এ মামলা করেন।

নরসিংদী মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হারুনুর রশিদ বলেন, সহিংসতায় তিনজন নিহতের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা রজু হয়েছে।  

রোববার রাত ১১টার দিকে স্বপন মিয়া নামে নিহতের এক স্বজন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এলাকায় এখনও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখন আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলবে।

গত ৪ নভেম্বর সকালে সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের নেকজানপুর গ্রামে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের সংঘর্ষে আমির হোসেন (৪৫), আশরাফুল মিয়া (২২) ও খুশি বেগম (৫০) নামে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।  

মামালায় এজহারনামীয় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুল্লাহ, আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাইয়ুম, ইউপি মেম্বার প্রার্থী রিপন মোল্লা, ইমান হাসান, আনোয়ার হোসেন, আব্দুল মতিন মিয়া, রুহুল আমিন, ফারুক মিয়া, ইব্রাহীম, মনসুর আলী, রুবেল মিয়া, লিয়াকত আলী, জাকারিয়া, কাউসার, ফেরদৌস মিয়াসহ আরও ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্র করে আলোকবালী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহর সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।  

গত ১১ নভেম্বর আলোকবালী ইউনিয়ন ইউপি নির্বাচনে দুজনই মনোনয়নপ্রত্যার্শী ছিলেন।  

এর মধ্যে, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে অ্যাডভোকেট আসাদুল্লাহ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন। পরে দলীয় নেতাকর্মীদের চাপে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।  

এ নিয়ে অ্যাডভোকেট আসাদুল্লাহ সমর্থক মেম্বার প্রার্থী রিপন মোল্লা ও দীপু সমর্থক মেম্বার প্রার্থী আবু খায়ের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।  

এরই জেরে ৪ নভেম্বর আসাদুল্লাহর সমর্থক ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী রিপন মোল্লার সমর্থকরা সকালে টেঁটা বল্লম ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নেকজানপুর গ্রামে দীপু চেয়ারম্যানের সমর্থক ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু খায়ের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়।  

পরে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। ১০ জনসহ গুলিবিদ্ধ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।