লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুকে হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ফয়সল আহমেদ রতনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
রতন কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন, দলের থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়।
জানা গেছে, গত ২১ জুন ১ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি ওই ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। ওইদিন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর গাড়িবহরে হামলা করে দুর্বত্তরা।
ওই ঘটনায় তাকে প্রধান আসামি করে কমলনগর থানায় মামলা দায়ের করলে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন।
জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বলেন, গাড়ি ভাঙচুর ও আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুকে হত্যাচেষ্টার মামলায় উচ্চ আদালত রতনকে চার সপ্তাহের জামিন দেন।
জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) রতন লক্ষ্মীপুর জজ ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। এতে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ জুন প্রথম ধাপে ইউপি নির্বাচনের দিন দুপুরে আওয়ামী লীগ নেতা পিংকু গাড়িবহর নিয়ে সাংগঠনিক কাজে রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডারের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথে তোরাবগঞ্জ বাজার পৌঁছালে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে তার গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল ফাটায়। এতে পিংকু গাড়ি থেকে নামতেই হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করা হয়। তিনি সরে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান। তার প্রাডো গাড়ির চারপাশ ভাঙচুরে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। হামলায় পিংকুসহ অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় রতনকে প্রধান ও কমলনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পিসহ ৫৪ জনের নাম উল্লেখ ও অচেনা আরও ১৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকেই রতন ও বাপ্পী পলাতক ছিলেন। পরে তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় আসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২১
আরএ