ঢাকা, শুক্রবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ব্যাংকে নিয়োগের এক প্রশ্নপত্রের দাম ১৫ লাখ টাকা!

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২১
ব্যাংকে নিয়োগের এক প্রশ্নপত্রের দাম ১৫ লাখ টাকা!

রাষ্ট্রায়ত্ত ৫ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ১০ জনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বুধবার সকালে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা উত্তরের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ।

তিনি জানান, প্রশ্নফাঁস চক্রের সদস্যরা প্রথম ব্যক্তির কাছে একটি প্রশ্ন বিক্রি করে ১৫ লাখ টাকায়। সেই প্রশ্ন হাত বদল করে কোটি কোটি টাকা পকেটে তুলেছে চক্রের সদস্যরা। তবে আটকদের নাম-পরিচয় জানায়নি পুলিশ।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত কয়েকটি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশ। তদন্তের পর প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ১০ জনকে আটক করা হয়।

এ বিষয়ে বুধবার বিকেলে ৩টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ।

গত শনিবার (৬ নভেম্বর) দুপুর তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত ১ হাজার ৫১১টি পদের বিপরীতে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন চাকরি প্রত্যাশী। পরীক্ষার পর পরীক্ষার্থীদের অনেকে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তুললেও তা নাকচ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগে এ পরীক্ষা নেওয়া হয়।

জানা গেছে, পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী একটি চক্র সক্রিয় ছিল- এমন তথ্য জানার পর পরীক্ষার কয়েক দিন আগে থেকে গোয়েন্দা ফাঁদ পাতা হয়। প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন হিসেবে যাদের নাম সামনে আসে, তাদের কয়েকজনের সঙ্গে ছদ্মবেশী চাকরিপ্রার্থী সেজে যোগাযোগ করেন গোয়েন্দারা। প্রশ্ন ফাঁস চক্রের অন্যতম সদস্য স্বপন নামে এক ব্যক্তি অগ্রিম টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করতে রাজি হয়। সব কিছু চূড়ান্ত হলে ছদ্মবেশী গোয়েন্দাদের সঙ্গে স্বপনের চুক্তি হয়- টাকা হাতে পেলেই পরীক্ষার অন্তত ৭ ঘণ্টা আগে একটি 'সেফ হাউসে' নেওয়া হবে। যেখানে চাকরিপ্রত্যাশী প্রশ্ন সরবরাহ করে উত্তর মুখস্থ করানোর ব্যবস্থা করা হবে।

এ কৌশল প্রয়োগ করেই স্বপনের খোঁজ মেলে। পরীক্ষার আগে তার কাছে হুবহু প্রশ্নপত্র চলে আসে। স্বপনের সঙ্গে রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা জানে আলমসহ আরো কয়েকজন ব্যাংকার এবং অন্যান্য পেশার লোকের সঙ্গে প্রযুক্তিগত যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে। ওই তথ্য বলছে, পরীক্ষার কয়েক ঘণ্টা আগে তাদের সবার কাছে প্রশ্নপত্র পৌঁছে যায়।

সৌজন্যে কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২১
নিউজ ডেস্ক 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।