কুমিল্লা: কুমিল্লার দেবীদ্বারে নিখোঁজের সাতদিন পর বাজারের ব্যাগভর্তি অবস্থায় শিশু ফাহিমার ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে এলাহাবাদ ইউনিয়নের কাচিসাইর গ্রামের এবটি ব্রিজের নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
ফাহিমা আক্তার (৫) দেবীদ্বার পৌর এলাকার চাপানগর গ্রামের ট্রাক্টরচালক মো. আমির হোসেনের মেয়ে। ৭ নভেম্বর বিকেল থেকে সে নিখোঁজ ছিল। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ১১ নভেম্বর আমির হোসেন দেবীদ্বার থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
স্থানীয়রা জানান, রোববার ভোরে পথচারীরা ঘটনাস্থলে একটি বাজারের ব্যাগ থেকে শিশুর পা বের হওয়া অবস্থায় দেখে। এ সময় তারা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে পরিবারের সদস্যরা ফাহিমাকে শনাক্ত করেন।
নিহতের মা হোছনা আক্তার ও দাদা জহিরুল ইসলামের ধারণা, ফাহিমার কানে স্বর্ণের দুল ছিল। সেগুলো ছিনিয়ে নিতেই কেউ কানের লতি ছিড়ে ফেলতে পারে। ছিনতাইকারীদের চিনে ফেলার ভয়ে তাকে হত্যা করতে পারে।
এদিকে, ফাহিমাকে খুঁজে পেতে কবিরাজের কাছে যায় তার পরিবার। ১০ হাজার টাকা চুক্তিতে কবিরাজ মাঈনুদ্দিন ফাহিমাকে খুঁজে দেওয়ার দায়িত্ব নেন। ফাহিমাকে জ্বিনে নিয়ে গেছে বলে দাবি করেন ওই কবিরাজ।
দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ৬-৭ দিন আগে তাকে হত্যা করে বাজারের প্লাস্টিকের ব্যাগে করে ফেলে যাওয়ায় সারা শরীর পঁচে গেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২১
এনটি