নরসিংদী: জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে পরিকল্পিতভাবে দুই বন্ধু মিলে নৃশংসভাবে হত্যা করে তাদেরই সহকর্মীকে। এ সময় ছিনিয়ে নেওয়া হয় নিহতের ব্যবহৃত বাইসাইকেল ও মোবাইল ফোন।
বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে এ চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গ্রেপ্তার বিল্লাল মিয়া রনি (২২) রায়পুরা উপজেলার করইতলা এলাকার রহমান মিয়ার ছেলে এবং অপর আসামি ফরহাদ মিয়া (২১) নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার লক্ষণখোলা এলাকার মো. ইমাম হোসেনর ছেলে।
নিহত এরশাদ মিয়া মাধবদী থানার শান্তিভাওলা গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে।
এ সময় পিবিআইয়ের নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. এনায়েত হোসেন মান্নান জানান, ঘটনার দুই মাস আগে চাকরি হারায় হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড বিল্লাল মিয়া রনি। দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে জুয়া খেলার ছলে ঋণগ্রস্ত হওয়ায় তার বন্ধু ফরহাদকে নিয়ে পরিকল্পনা করে টাকা সংগ্রহের। পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদেরই সহকর্মী এরশাদকে টার্গেট করে তারা। গত ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় এরশাদ মিয়া নিজ বাড়ি শান্তিভাওলা থেকে শহরের কর্মস্থল সাইজিং মিলে যাওয়ার পথে নাগরিয়াকান্দি এলাকায় পৌঁছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা রনি ও ফরহাদ তাকে পার্শ্ববর্তী বালুর মাঠে নিয়ে সাইকেল ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ছুরিকাঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পরে সদর থানায় নিহতের বড় ভাই শাকিলের দায়ের করা মামলা আমলে নিয়ে কাজ শুরু করে পিবিআই। পরদিনই ফরহাদকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে হোতা বিল্লাল মিয়া ওরফে রনি। দীর্ঘদিন পর্যবেক্ষণের পর মঙ্গলবার তাকে পার্শ্ববর্তী জেলা কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নিহতের ব্যবহৃত বাইসাইকেল মাত্র ৯০০ এবং মোবাইল ফোনটি ১৫০০ টাকায় বিক্রি করে অভিযুক্তরা। তাছাড়া আগে থেকেই নিহত এরশাদের বিকাশের পাসওয়ার্ড জানতে পারায় তার বিকাশে থাকা ৬ হাজার পাঁচশত টাকা উত্তোলন করে তারা। এ ঘটনায় অপরাধী দুজনেই তাদের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠান।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২৫
জেএইচ
