ভোলা: করোনা সংক্রমণ রোধে সারা দেশে তৃণমূল পর্যায়ে চলছে টিকাদান কর্মসূচি। তবে এর মধ্যে বাদ পরে গেছে ভোলার লালমোহনের বেদে পরিবারগুলো।
লালমোহন স্টেডিয়ামের মাঠে গত কয়েক বছর ধরে বাস করছেন অর্ধশতাধিক বেদে। তাদের অভিযোগ, বেদে পল্লিতে করোনা নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়নি। করোনার বিষয়ে তারা শুনে থাকলেও তেমন কিছু জানেন না। এমনকি টিকা পেতে কীভাবে নিবন্ধন করতে হয় তাও জানা নেই তাদের।
লালমোহনের বেদে সম্প্রদায়ের সদস্য মুজাহিদ, তুতুল বেগম, খাবিজুনসহ অন্যরা বাংলানিউজকে এ কথা জানান।
তারা বলেন, আমাদের টিকা নেওয়া দরকার। কিন্তু কিভাবে টিকা নিতে হবে তা জানি না। কেউ আমাদের টিকা নেওয়ার ব্যাপারে বলেনি। তাই টিকা দিতে পারিনি। আমাদের টিকা নেওয়ার ইচ্ছে আছে।
বেদে সর্দার আমির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এখানে ১০টি বেদে পরিবার রয়েছে। তারা কেউ টিকা পায়নি। এতে সংক্রমণ ঝুঁকিতে রয়েছে পরিবারগুলো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেদে সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষরা গ্রামগঞ্জের হাট-বাজারে এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাপের খেলা, সাঙ্গা দেওয়া, পুকুরে হারানো জিনিসপত্র খুঁজে দেওয়া ও ফেরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে সতর্কতা ছিল না তাদের। এতে সংক্রমণ ঝুঁকিতে পড়েছেন তারা। তবে শুধু লালমোহন নয়, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বেশিরভাগ বেদে পরিবার করোনা টিকা থেকে বঞ্চিত।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পল্লব কুমার হাজরা বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে বেদেদের টিকার আওতায় আনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২১
এনএসআর