খুলনা: খুলনায় ধর্ষণের অভিযোগে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলমকে (৪৪) গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) সকালে ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বাগেরহাটের মোংলা থেকে ১১ বছর বয়সী কন্যাশিশু ও এক ভাগ্নেকে নিয়ে চিকিৎসক দেখানোর জন্য খুলনায় আসেন ভুক্তভোগী ওই নারী (২৮)। তবে ডাক্তারের সিরিয়াল না পাওয়ায় রাতে থাকার জন্য মহানগরের সুন্দরবন আবাসিক হোটেলে তৃতীয় তলার ৩১৩ নম্বর রুমে মেয়েকে নিয়ে ওই নারী থাকেন। আর তার ভাগ্নে আরেক রুমে থাকেন। রাত সোয়া ২টার দিকে হোটেল বয়কে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে ওই নারীর রুমে প্রবেশ করে জাহাঙ্গীর। এ সময় ওই নারীর সঙ্গে থাকা মেয়েটি কার জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন জাহাঙ্গীর। নিজের মেয়ে পরিচয় দিলে জাহাঙ্গীর তা বিশ্বাস করেননি। এরপর হুমকি-ধামকি দিয়ে হোটেল বয়কে রুম থেকে তাড়িয়ে দেয় জাহাঙ্গীর। পরে রাত ২টা ৩০ মিনিটের দিকে তাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোর করে ধর্ষণ করেন। এ সময় ওই নারী ও তার মেয়ের চিৎকার শুনে হোটেল বয় ও অন্যরা এগিয়ে এলে জাহাঙ্গীর পালিয়ে যান। পরে ভাগ্নে সবশুনে হোটেল মালিক মিশারুল ইসলাম মনিরকে বিষয়টি জানালে তিনি এসে হোটেলের মেইন গেট তালা দিয়ে পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে ওই নারীকে উদ্ধার করে ও জাহাঙ্গীরকে আটক করেন।
খুলনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, বাগেরহাটের মোংলা থেকে ভুক্তভোগী এক নারী তার মেয়েকে চিকিৎসক দেখানোর জন্য খুলনায় আসেন। চিকিৎসকের সিরিয়াল না পেয়ে রাতে থাকার জন্য নগরীর সুন্দরবন হোটেলের ৩১৩ নম্বর রুম বুকিং করেন। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ২টা ৩০ মিনিটে ডিবির উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম ওই নারীর রুমে ঢুকে তাকে ধর্ষণচেষ্টা করেন। এ সময় ভুক্তভোগীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন জাহাঙ্গীরকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলায় জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া ভুক্তভোগী নারীকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি হাসান।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২১
এমআরএম/আরআইএস