বরিশাল: অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে কতো যাত্রী ছিলেন, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সেইসঙ্গে নিশ্চিত হওয়া যায়নি নিখোঁজের সংখ্যাও।
স্থানীয়রা বলছেন, লঞ্চের অধিকাংশ যাত্রীই বরগুনা জেলার বাসিন্দা হওয়ায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসতে সময় লাগছে। তাই নিখোঁজদের খবর এখনও তেমনভাবে মিলছে না। স্থানীয়রা বলছেন, লঞ্চে হাজার খানেক যাত্রী ছিলেন।
লঞ্চের দ্বিতীয় তলার ডেকের যাত্রী ও বরগুনার বেতাগীর বাসিন্দা আব্দুল্লাহ জানান, এ লঞ্চে ৭০০-৮০০ যাত্রী ছিলেন। যাদের মধ্যে বেশিরভাগেই চেষ্টা করেছেন, লঞ্চ থেকে লাফিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিতে। আর যারা পারেননি, তারা পুড়ে অঙ্গার হয়েছেন।
তবে বরিশাল নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক বরিশাল এসএম আজগর আলী জানান, ঢাকা সদরঘাটের হিসেব অনুযায়ী ৩১০ জনের মতো যাত্রী ছিলেন।
যেটি ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী ঠিক রয়েছে। যদিও লঞ্চের কাউকে না পাওয়ায় এর থেকে বেশি যাত্রী থাকার বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে বরগুনাগামী অপর একটি লঞ্চের স্টাফরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, লঞ্চের মাস্টার-ড্রাইভাররা নিরাপদে লঞ্চ থেকে নামতে পেরেছেন। তবে তারা ভয়ে হয়তো আত্মগোপনে রয়েছেন।
আরও পড়ুন:
স্টাফ-মালিক পক্ষের কাউকেই পায়নি বিআইডব্লিউটিএ
সুগন্ধা নদীতে লাফ দিয়ে প্রাণে বাঁচেন ইউএনও
লঞ্চে আগুন: তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রণালয়
লঞ্চে আগুন: ঝালকাঠী যাচ্ছেন নৌ প্রতিমন্ত্রী
সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুন: ৩৬ জনের মৃত্যু
ঝালকাঠিতে বরগুনাগামী লঞ্চে আগুন
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২১
এমএস/এসআই