ঝালকাঠি: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে এমভি অভিযান-১০ নামে একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে ৩৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের জন্য যাত্রীদেরই দায়ী করেছেন লঞ্চের মালিক মো. হাম জামাল।
দুর্ঘটনা কবলিত এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক মো. হাম জামাল দাবি করেছেন, যাত্রীদের থেকে আগুন লেগেছে। যার সূত্রপাত দোতলা থেকে হয়েছে। এরপর তিন তলায় ছড়িয়ে পড়ে আগুন। যার কারণে প্রাণহানির ঘটনা বেশি হয়েছে।
ইঞ্জিন থেকে আগুন লাগার বিষয় নাকচ করে দিয়ে হাম জামাল বলেছেন, মাসখানেক আগে নতুন ইঞ্জিন লাগানো হয়েছে। নতুন ইঞ্জিন লাগানোর পর ঢাকা-বরগুনা রুটে মাত্র চারটি ট্রিপ দেওয়া হয়েছে।
লঞ্চে থাকা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতির মেয়াদও আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত আছে বলে দাবি করেন তিনি।
তবে লঞ্চের যাত্রীদের দাবি, লঞ্চের নিচ তলার পেছনে ইঞ্জিন রুমে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে এবং এরপরই লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য দেখতে পান তারা। আর ইঞ্জিন রুমে সাধারণ যাত্রীদের যাওয়ার সুযোগ নেই, সেখানে লঞ্চের লোকজনই থাকেন।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক বেল্লাল উদ্দিন বলেন, আগুনের সঠিক সূত্রপাত কোথা থেকে হয়েছে তা নিশ্চিত করে জানাতে আরও সময় প্রয়োজন। নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। তবে যাত্রীরা দাবি করেছে লঞ্চের পেছন থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
এদিকে লঞ্চের যাত্রী আব্দুল্লাহ বলেন, বেপরোয়া গতিতে চালনার পাশাপাশি লঞ্চের ইঞ্জিনের শব্দও ভিন্ন ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২১
এসআই