বরিশাল: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে চলমান এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের পর যাত্রীদের চিৎকার শুনে প্রথম এগিয়ে যান স্থানীয়রা। বিশেষ করে ঝালকাঠি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধিসহ ব্যবসায়ী ও স্থানীয় ট্রলার চালকরা যাত্রীদের সাহায্যে কুয়াশাচ্ছন্ন রাতে এগিয়ে যান।
যাত্রীরা বলছেন, নদীতে ভেসে থাকা অবস্থায় স্থানীয় ট্রলারের লোকজন তাদের উদ্ধার করেন। আবার কেউ জানিয়েছেন শুধু উদ্ধারই নয়, উদ্ধারের পর খাবার ও শুকনো পোশাকেরও ব্যবস্থা করেছেন তারা।
৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হুমায়ূন কবির সাগর বলেন, লঞ্চে আগুন দেখে স্থানীয় ছোট ভাইদের সহায়তায় ট্রলার নিয়ে সেদিকে ছুটে যাই। তবে আগুনের তাপের কারণে প্রথমে লঞ্চের কাছে যেতে পারিনি। কিন্তু যারা নদীতে ঝাপিয়ে পড়েছে, আমাদের চোখে পড়েছে তাদের সবাইকে উদ্ধারের চেষ্টা করে তীরে নিয়ে এসেছি আমরা।
ঝালকাঠি লঞ্চঘাট সংলগ্ন খেয়াঘাটের ব্যবসায়ী এরশাদসহ স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, রাতে আগুন আগুন শব্দ শুনে যে যার মতো রাস্তায় বের হই। আকাশে আগুনের লাল আভা দেখে সবাই নদীর দিকে তাকিয়ে দেখেন লঞ্চে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। এরপর যে যার মতো লঞ্চটির যাত্রীদের সহযোগিতায় এগিয়ে যান।
লঞ্চের যাত্রী রিনা বেগম বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আসার আগে আমাদের উদ্ধারে স্থানীয়রা সহায়তার হাত বাড়িয়ে না দিলে আরও প্রাণহানি ঘটতে পারতো। তারা শুধু উদ্ধারই করেননি, অনেককে খাইয়েছেন, শুকনো পোশাকের ব্যবস্থা করেছেন।
এদিকে কোস্টগার্ড, পুলিশ, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের পাশাপাশি রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সেচ্ছাসেবকরাও উদ্ধার কাজে এগিয়ে যান।
ঢাকা থেকে বরগুনাগামী যাত্রীবাহী অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুপুর ২টা পর্যন্ত ৩৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২১
এমএস/আরবি